চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি কোথায় হবে, তা নিয়ে আইসিসি এখনো সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি। তবে চাপের কাছে নমনীয় হওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছে পাকিস্তান।
‘হাইব্রিড’ মডেল মেনে নেওয়ার জন্য তারা মাত্র দুটি শর্ত দিয়েছে। যার একটি হলো আইসিসির রাজস্ব আয় থেকে পিসিবির জন্য বরাদ্দ বাড়াতে হবে। অন্যটি ২০৩১ সাল পর্যন্ত ভারত যতগুলো বৈশ্বিক টুর্নামেন্ট আয়োজনের স্বত্ব পেয়েছে, সেগুলোও হাইব্রিড মডেলে হতে হবে। এর মাধ্যমে কার্যত ভারতের দাবিই মেনে নিচ্ছে পাকিস্তান। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে অংশ নেওয়ার ব্যাপারে ভারত স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছিল পাকিস্তানে গিয়ে তারা খেলবে না। এরপর পিসিবির চেয়ারম্যান নকভি বলেন, ‘আমরা তাড়াহুড়া করে কিছু করতে চাচ্ছি না। আমাদের চিন্তাভাবনা জানিয়েছি। ভারতও নিজেদের মত জানিয়েছে। আমাদের লক্ষ্য ক্রিকেটের জয়। আলোচনার জন্য আমাদের দরজা খোলা। হাইব্রিড মডেলে প্রতিযোগিতা হবে, না অন্য কোনো পদ্ধতিতে হবে তা জানি না। তবে আমরা একটাই কথা বলতে চাই, যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে তা যেন সব দেশের কথা মাথায় রেখে নেওয়া হয়।’
১ ডিসেম্বর আইসিসির চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন জয় শাহ। দ্রুতই সমস্যা সমাধান করার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন তিনি।
আইসিসির দায়িত্ব নেওয়ার পর তিনি বলেন, ‘আইসিসির চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পেয়ে আমি সম্মানিত। আইসিসির পরিচালক এবং সদস্য বোর্ডগুলোর সমর্থন ও বিশ্বাসের জন্য আমি কৃতজ্ঞ। ক্রিকেটের জন্য এটা খুব গুরুত্বপূর্ণ সময়। আমরা এখন ২০২৮ লস অ্যাঞ্জেলেস অলিম্পিক গেমসের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি। বিশ্বে ক্রিকেটের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধির জন্যও কাজ করছি আমরা। চেষ্টা করা হচ্ছে খেলাটাকে আরও আকর্ষণীয় করার। তিন ধরনের ক্রিকেটকেই এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। নারী ক্রিকেটেরও বিশ্বব্যাপী প্রসারের চেষ্টা করা হচ্ছে। আমাদের সব সুযোগ কাজে লাগাতে হবে। আইসিসির সব কমিটি এবং সদস্যদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করতে চাই।’