শান্তিতে নোবেল জয়ী সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জিমি কার্টার চলে গেলেন না ফেরার দেশে। স্থানীয় সময় রোববার বিকালে জর্জিয়ার প্লেইনস শহরে নিজ বাড়িতে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।
তার মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামাসহ দেশটির রাজনীতিবিদরা। জিমি কার্টারের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে অর্ধনমিত রাখা হয়েছে হোয়াইট হাউজ ও ক্যাপিটল হিলের পতাকা।
যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে সবচেয়ে দীর্ঘজীবী প্রেসিডেন্টের নাম জিমি কার্টার। গত অক্টোবর মাসেই নিজের শততম জন্মদিন পালন করেন তিনি। ২০২৩ সাল থেকে জর্জিয়ার প্লেইন্সে তার বাড়িতে, স্ত্রী রোজালিন কার্টারের সঙ্গে ‘হসপিস কেয়ার’-এ ছিলেন। ওই বছরই মারা যান সাবেক মার্কিন ফার্স্ট লেডি রোজালিন। আর তার ১১ মাসের মধ্যেই প্রয়াত হলেন জিমি।
জিমি কার্টারের ছেলে চিপ কার্টার বলেন, তার বাবা একজন নায়ক ছিলেন। শুধু তার কাছেই নন, যারা শান্তি, মানবাধিকার ও নিঃস্বার্থ ভালোবাসায় বিশ্বাস করেন, এমন সবার কাছেই।
জিমি কার্টারকে অসাধারণ নেতা আখ্যায়িত করে শোক প্রকাশ করেছেন বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তিনি বলেন, আমেরিকা এবং বিশ্ব একজন অসাধারণ নেতা, রাষ্ট্রনায়ক এবং মানবতাবাদীকে হারালো।
ওয়াশিংটন ডিসিতে জিমি কার্টারের শেষকৃত্য অনুষ্ঠিত হবে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায়। ৮ দিন ধরে চলবে শেষকৃত্যের আনুষ্ঠানিকতা। এরপর জর্জিয়ার প্লেইনসে তাকে সমাহিত করা হবে।
১৯৬০-এর দশকে রাজনীতিতে প্রবেশ করেন জিমি কার্টার। ১৯৭১ থেকে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত ছিলেন জর্জিয়ার গভর্নর। এর আগে অঙ্গরাজ্যটির প্রাদেশিক আইনসভার সদস্য হিসেবে দুই মেয়াদে দায়িত্ব পালন করেন তিনি। ডেমোক্রেট পার্টির মনোনয়ন নিয়ে ১৯৭৬ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জেরাল্ড ফোর্ডকে পরাজিত করে হোয়াইট হাউসের বাসিন্দা হন জিমি কার্টার।
তবে, প্রেসিডেন্ট হিসেবে জিমি কার্টারের দায়িত্ব পালন ততোটা সুখকর ছিল না। অর্থনৈতিক দুরবস্থা ও কূটনৈতিক সংকট সামলাতে না পেরে এক মেয়াদের বেশি ক্ষমতায় থাকতে পারেননি তিনি। পরে মানবিক কর্মকাণ্ডের মধ্য দিয়ে নিজের সুনাম পুনরুদ্ধার করেন জিমি কার্টার। যার স্বীকৃতি হিসেবে ২০০২ সালে তাকে শান্তিতে নোবেল পুরস্কারে ভূষিত করা হয়।