অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায় এসে হজের খরচ কমিয়ে আনার ঘোষণা দেওয়ার পর কতটা কমানো যায়, সে চেষ্টা চলছে।
হজের খরচ কমিয়ে আনতে সরকারের আরেক পরিকল্পনা হলো ফ্লাইটের বদলে জাহাজ দিয়ে হজ যাত্রী পাঠানো। তবে সেটা কতটুকু সম্ভব?
গত ৬ অক্টোবর ধর্ম উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হাসানের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল সৌদি হজ ও ওমরাহ মন্ত্রীর সাথে জেদ্দায় গিয়ে এ বিষয়ে বৈঠকও করেন। পরে বাংলাদেশ থেকে দুই থেকে তিন হাজার হজযাত্রীকে পরীক্ষামূলকভাবে সমুদ্রপথে হজে যাওয়ার অনুমতি দেওয়ার কথা জানায় সৌদি কর্তৃপক্ষ।
এখন সৌদি সমুদ্রবন্দর কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে অনুমতি দিলেই যাত্রীরা সমুদ্রপথে হজে যাওয়ার সুযোগ পাবেন।
ধর্ম মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে সৌদি সমুদ্রবন্দর কর্তৃপক্ষের কাছে চিঠিও পাঠিয়েছে। তবে জবাব এখনও আসেনি।
প্রতিনিধি দলে থাকা ধর্ম সচিব আ. হামিদ জমাদ্দার বলেন, “এখওন দুটো বাধা আছে। সৌদি পোর্ট অথরিটি থেকে আমরা এখনও অনুমতি পাই নাই। দ্বিতীয়ত, জাহাজ যেটা আমরা নিয়ে যাব, সেটাও জোগাড় করতে পারি নাই।
‘আমাদের উপদেষ্টা সাহেব চেষ্টা করছেন। কিন্তু জাহাজের দাম অনেক, সব কিছু মিলিয়ে এবারে কঠিন হবে কিন্তু আগামী বছরের জন্য পথটা উন্মুক্ত করে যাব।’
সমুদ্র পথের রুট প্ল্যান নিয়ে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ থেকে সরাসরি সমুদ্রপথে শ্রীলঙ্কার কলম্বো হয়ে সৌদি আরবে যেতে সাত দিন লাগবে। আমরা খাবার-দাবার, ফুয়েল দিয়ে দেব।’
এতে আকাশপথের তুলনায় ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ খরচ কমবে বলে জানান তিনি।
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালে বাংলাদেশ থেকে সরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ প্যাকেজ ধরা হয় ছয় লাখ ৮৩ হাজার টাকা। বেসরকারি প্যাকেজে খরচের সর্বনিম্ন খরচ ছিল ছয় লাখ ৭২ হাজার টাকা।