সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ডিভোর্স, লিভ টুগেদার নিয়ে ছড়িয়ে পড়া অভিনেত্রী ও সংগীতশিল্পী জিনাত সানু স্বাগতার বক্তব্যের বিরুদ্ধে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে। নোটিশে তাকে বক্তব্য প্রত্যাহার করে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে বলা হয়েছে।
আজ শনিবার আরিফুল খবির নামক এক ব্যক্তির পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মুহম্মদ মেছবাহ উদ্দিন চৌধুরী এই নোটিশ পাঠান।
নোটিশে বলা হয়েছে, আপনি (স্বাগতা) হাসান আজাদ নামক একজন ব্যক্তির সঙ্গে লিভ টুগেদার করেছেন বলে স্বীকার করেন। যা বিগত ১ (এক) বছর যাবৎ করেছেন, তাও প্রকাশ্যে স্বীকার করেন এবং লিভ টুগেদার করার জন্য উৎসাহ দেন।
এতে আরো বলা হয়, আপনি একজন মুসলমান ধর্মাবলম্বী হওয়ায় আপনার জানা আছে বিয়ের পূর্বে নারী ও পুরুষের মধ্যে সহবাস বা লিভ টুগেদার করা সম্পূর্ণরূপে হারাম। আপনি উক্ত হারাম বিষয়টি নিজে করে অপরকে করার জন্য উৎসাহ দিয়েছেন। যার কারণে সমাজে ব্যভিচারের মাত্রা বৃদ্ধি পেয়ে এক বিশৃঙ্খল পরিবেশ সৃষ্টি হবে। আপনার উক্ত বিবৃতির কারণে মুসলমান ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় অনুভূতিতে চরমভাবে আঘাত দিয়েছেন।
নোটিশ প্রাপ্তির ৭ (সাত) দিনের মধ্যে আপনার উক্ত বক্তব্য প্রত্যাহার করে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইবেন এবং তা নোটিশ প্রদানকারী আমার মোয়াক্কেলকে অবহিত করবেন, অন্যথায় আপনার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, বিয়ের আগে এক সাক্ষাৎকারে এ অভিনেত্রী বলেছিলেন, ‘সমাজও আমাদের লিভ টুগেদারের বিষয়টা মেনে নিয়েছে। প্রথমে একটু সময় নিয়েছে কিন্তু পরে বিষয়টা স্বাভাবিক হয়ে গেছে। আমি মনে করি, আমাদের সমাজও পরিবর্তন হচ্ছে। ডিভোর্স নরমালাইজ হচ্ছে, লিভ টুগেদারও নরমালাইজ হবে, ইনশাল্লাহ।’
তারই পরিপ্রেক্ষিতে স্বাগতাকে এই আইনি নোটিশ পাঠানো হয়।