বাংলা চলচ্চিত্রের কিংবদন্তি অভিনেতা প্রবীর মিত্র চলে গেলেন না ফেরার দেশে। গুরুতর অসুস্থ হয়ে রাজধানীর একটি হাসপাতালে তিনি শেষ নি:শ্বাস ত্যাগ করেন। তার চলে যাওয়া উজ্জ্বল নক্ষত্রের পতন বলে মনে করেন সহশিল্পীরা।
প্রবীর মিত্র, বাংলা চলচ্চিত্রের রঙ্গিন নবাব। যার সহজিয়া অভিনয় বাংলা চলচ্চিত্রের সেলুলয়েডের ফিতায় ভিন্ন মাত্রা যোগ করেছিলো শুরু থেকেই। তাইতো প্রবীর মিত্র হয়ে উঠেছিলেন দেশি সিনেমার প্রিয় পাত্র।
জন্ম, ১৯৪৩ সালের ১৮ আগস্ট। কুমিল্লার চান্দিনায়। বড় হওয়া পুরান ঢাকায়। নন্দিত এই অভিনেতা স্কুলজীবনেই যুক্ত হন নাট্যচর্চায়। ১৯৭১ এ মুক্তি পাওয়া ‘জলছবি’ সিনেমা দিয়ে পা রেখেছিলেন বাংলা চলচ্চিত্রে। তারপর কাজ করে গেছেন একের পর এক কালজয়ী সিনেমায়। অভিনয়গুণে লাখো কোটি দর্শকের মন জয় করে নিয়েছিলেন বাংলা সিনেমার এই দ্বিতীয় নবাব।
তিতাস একটি নদীর নাম, সিরাজউদ্দৌলা, জীবনতৃষ্ণা, ফরিয়াদ, চরিত্রহীন, মিন্টু আমার নাম, ফকির মজনু শাহসহ ৪ শতাধিক সিনেমায় অভিনয় করেছেন তিনি। বিয়ের পর ধর্মান্তরিত হয়ে নাম বদলে হাসান ইমাম রাখলেও, প্রবীর মিত্র নামেই তিনি দর্শকের ভালোবাসা পেয়েছেন।
২৩ ডিসেম্বর তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হলেও তার অবস্থার উন্নতি হয়নি। রোববার ২ ছেলে ও ১ মেয়েকে রেখে না ফেরার দেশে পাড়ি জমান কিংবদন্তি অভিনেতা প্রবীর মিত্র।
তার মৃত্যুর খবর পেয়ে হাসপাতালে ছুটে আসা সহশিল্পীরা অভিভাবক হারানোর বেদনায় কাতর।
গুনী এই শিল্পীর চলে যাওয়াতে বাংলা চলচ্চিত্রাঙ্গনে নেমে আসে শোকের ছায়া। বাংলা চলচ্চিত্র হারালো তার প্রিয় মিত্র, প্রবীর মিত্রকে।