বাংলাদেশের এক ইঞ্চি জমিও ছাড় না দেয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করে জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ-এর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, ‘কোনো আগ্রাসন সহ্য করবো না।’
শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) সকালে কুমিল্লা টাউন হল মাঠে মহানগর জামায়াতের কর্মী সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জামায়াত আমির। সেখানে তিনি বলেন, ‘মাইনরিটি শব্দ ব্যবহার করে একটি গোষ্ঠি দেশের বাইরে থেকে নিজেদের স্বার্থ হাসিল করতে চায়।’
বৈষম্যহীন জোট নিরপেক্ষ সমাজ গড়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করে ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ‘বাংলাদেশে সকল ধর্মের মানুষ তার ধর্মপালন করবে। ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি করা যাবে না।’
জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, জনগণ অতীত বর্তমান ভবিষ্যৎ বিচার করে সিদ্ধান্ত নিবেন কাকে তারা বেছে নিবেন। এসময় তিনি যৌক্তিক সময়ের মধ্যে নির্বাচন আয়োজনের আহবানও জানান।
জামায়াত ক্ষমতায় গেলে দুর্নীতি করবো না, দুর্নীতি করতেও দিবো না, দুর্নীতির মৃত্যু হবে সুনীতির জয় হবে বলে মন্তব্য করেন।
কুমিল্লার বিভাগ নিয়ে তিনি বলেন, যত তাড়াতাড়ি পারেন কুমিল্লা বিভাগ দিয়ে দিন।
মহানগরে কর্মী সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন সাবেক এমপি ও জামায়াতে ইসলামের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের।
অনুষ্ঠানের শুরুতে অনুষ্ঠানের সভাপতি জামায়াতে ইসলাম কুমিল্লা মহানগরীর আমির ও কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য কাজী দ্বীন মোহাম্মদ বক্তব্য রাখেন। আরো বক্তব্য রাখেন সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এ টি এম মাছুম, মাওলানা আব্দুল হালিম, সাবেক চাকসু ভিপি ও কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য এড জসিম উদ্দিন সরকার, কুমিল্লা উত্তর জেলা আমির অধ্যাপক আবদুল মতিনসহ নেতৃবৃন্দ।
সর্বশেষ ২০০৫ সালে কুমিল্লায় জামায়াত ইসলামীর কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। ওই কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সাবেক আমির ও সাবেক শিল্পমন্ত্রী মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী। বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময় দমন-পীড়নের শিকার হয়ে প্রকাশ্যে জামায়াত কোনও কর্মী সম্মেলন করতে পারেনি কুমিল্লায়।
গণঅভ্যুত্থানের পর এ বছরের ৫ জুলাই প্রকাশ্যে কর্মসূচি দেয় জামায়াত। তারই ধারাবাহিকতায় ৬ ডিসেম্বর দলটি কুমিল্লা টাউন হল ময়দানে কর্মসূচি পালন করে। টাউন হল ময়দানে সকাল ৮টার আগেই জামায়াতকর্মীদের উপস্থিতি ছিলো লক্ষণীয়। টাউনহলমুখী সড়কগুলো ছিলো কানায় কানায় পূর্ণ।
Facebook Comments Box