বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে আয়োজিত বিএনপির শোভাযাত্রা শেষ হলো অতি দ্রুত নির্বাচনের দাবিতে। শুক্রবার (০৮ নভেম্বর) বিকেল সাড়ে ৩টায় রাজধানীর নয়াপল্টন থেকে এটি শুরু হয়।
এর আগে, দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে শোভাযাত্রাপূর্ব সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। তাতে কোরআন তেলাওয়াত ও মোনাজাতের মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে শোভাযাত্রার কার্যক্রম শুরু হয়।
সংক্ষিপ্ত সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। লন্ডন থেকে শোভাযাত্রা উদ্বোধন করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
তিনি বলেন, আজকে রাজপথের সমাবেশ, মিছিল কারও বিরুদ্ধে প্রতিবাদের ঝড় তোলার জন্য নয়, আজকের মিছিল দেশের স্বার্থরক্ষার মিছিল।
তিনি বলেন, গণতন্ত্রবিরোধী অপশক্তির ষড়যন্ত্র কিন্তু থেমে নেই। অন্তবর্তী সরকারকে ব্যর্থ করে দিতে পলাতক স্বৈরাচারের দোসররা দেশে-বিদেশে, প্রশাসনে এখনো সক্রিয়।
শোভাযাত্রা শেষে সমাপনী বক্তব্যে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নেতাকর্মী ও আগতদের ধন্যবাদ জানান। নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বিএনপি মহাসচিব বলেন, আজ জাতির স্বাধীনতা রক্ষার জন্য নতুন করে শপথ নিলেন, আজ গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে শপথ নিলেন।
সব দলের উদ্দেশে ফখরুল বলেন, সব রাজনৈতিক দলকে আহ্বান জানাব, স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
তিনি অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে বলেন, অতিদ্রুত সংস্কার শেষ করে অবাধ নির্বাচন দিতে হবে। নির্বাচনের মধ্য দিয়ে আমরা জনগণের সংসদ ও জনগণের সরকার গঠন করতে পারব।
মির্জা ফখরুলের আগে বক্তব্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, আজকের শোভাযাত্রা প্রমাণ করেছে, আমরা সব বাধা মোকাবিলা করতে পারব।
এ সময় স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সালাউদ্দিন আহমেদ, এ জেড এম জাহিদ হোসেনসহ জ্যেষ্ঠ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
নয়াপল্টন থেকে শোভাযাত্রাটি শুরু হয়ে কাকরাইল মোড়, কাকরাইল মসজিদ, মৎস্য ভবন মোড়, ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের সামনে দিয়ে শাহবাগ মোড় যায়। এরপর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল, বাংলামোটর, কারওয়ান বাজার, ফার্মগেট হয়ে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে গিয়ে শেষ হয়।