বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. মঈন খান বলেছেন, এ আন্দোলনের প্রথম ধাপ হচ্ছে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার গঠন। আর দ্বিতীয় ধাপ হলো-একটি সুষ্ঠু নির্বাচন।
সোমবার (১১ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটে জুলাই-আগস্ট বিপ্লবে আহত ছাত্রজনতাকে আর্থিক সহযোগিতা ও পুনর্বাসন কার্যক্রম উদ্বোধন করে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
ডক্টরস অ্যাসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ড্যাব) এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. ফরহাদ হালিম ডোনার, ড্যাব সভাপতি অধ্যাপক ডা. হারুন আল রশিদ ও মহাসচিব ডা. মো. আব্দুস সালাম।
ড. আবদুল মঈন খান বলেন, গত ৫ আগস্টের পর জনগণ বুক ভরে নিঃশ্বাস নিতে পারছে। স্বাধীনভানে কথা বলতে পারছে। এখন অন্তর্বর্তী সরকারকে জনগণের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দিতে হবে।
দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ মুখে গণতন্ত্রের কথা বলে কিন্তু তাদের মধ্যে গণতন্ত্রের ছিটেফোঁটাও নেই। তাদের মুখোশ উন্মোচন হয়েছে। ভবিষ্যতেও যেন তাদের মুখোশ উন্মোচন থাকে তা খেয়াল রাখতে হবে। আওয়ামী লীগের দোসররা যেন এ সরকারকে কবজা করতে না পারে। তারা যেন মাথাচাড়া দিয়ে না উঠতে পারে, এজন্য মুক্তিকামী ছাত্রসমাজকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে তা প্রতিরোধ করতে হবে।
সাবেক এ মন্ত্রী বলেন, ছাত্রজনতার আগুনে শুধু স্বৈরাচাররা পরাজিত হয়নি, তারা কাপুরুষের মতো দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছেন। ছাত্রজনতার আন্দোলেনে হাজার হাজার মানুষ জীবন দিয়েছে, বহু মানুষ পঙ্গু হয়েছে। ‘৭১ সালেও স্বাধীনতা যুদ্ধের সময়ও আওয়ামী লীগ কাপুরুষের মতো পালিয়ে গিয়েছিল।
মঈন খান বলেন, গত ১৫ বছর স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ সরকার বন্দুকের জোরে ১৮ কোটি মানুষকে বন্দি করে রেখছিল। জনগণের গনতান্ত্রিক অধিকার ফিরিয়ে দিতে বিএনপিসহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলো লড়াই সংগ্রাম করেছে। অনেক নেতাকর্মী প্রাণ দিয়েছে। এক লাখের বেশি নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হয়েছে। ইতিহাস সাক্ষী দেয়, কোনো জুলুমবাজ অন্যায়কারী ক্ষমতায় বেশিদিন টিকতে পারে না।
এ সময় হাসপাতালের আহত রোগীদের খোঁজ খবর নেন এবং ৫১ জন আহত রোগীকে আর্থিক সহায়তা দেন মঈন খান। এ সময় বাংলাদেশের ডাক্তারদের চিকিৎসা সেবার সময় আরও বাড়ানোর আহ্বান জানান তিনি।