লন্ডন ক্লিনিকে ডা. প্যাট্রিক কেনেডির তত্ত্বাবধানে উন্নত চিকিৎসা নেবেন বিএনপি চেয়ারপারসন সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া। লন্ডনে যাওয়ার প্রাক্কালে আমার দেশ-এর সঙ্গে এক সংক্ষিপ্ত সাক্ষাৎকারে খালেদা জিয়া দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘ইনশাআল্লাহ সুস্থ হয়ে আমি আমার দেশ ও জনগণের মাঝে ফিরে আসব। আমার জন্য আপনারা সবাই দোয়া করুন।’ ফ্যাসিস্টদের পতনের পর দেশের মানুষ মুক্ত পরিবেশে আছে এবং সহসাই বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক রীতি চালু হবে এই আশা প্রকাশ করেন তিনি।
শনিবার রাত ১২টায় এই প্রতিবেদক খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন তার বাসভবন ফিরোজায়। তিনি আমার দেশ পুনঃপ্রকাশ ও সার্বিক অবস্থা সম্পর্কে জেনে খুশি হন। ২২ ডিসেম্বর প্রকাশিত আমার দেশ-এর উদ্বোধনী সংখ্যা প্রথম প্রেস থেকে নিয়ে খালেদা জিয়াকে পাঠান সম্পাদক মাহমুদুর রহমান।
পতিত শেখ হাসিনা সরকারের রোষানলের শিকার হয়ে প্রায় ১২ বছর আমার দেশ বন্ধ ছিল। খালেদা জিয়া বলেন, সম্পাদক মাহমুদুর রহমানসহ পত্রিকার সাংবাদিকরা কষ্ট ভোগ করেছেন। সবার প্রতি দোয়া ও শুভ কামনা জানাই।
খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাতের সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য ও তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, আরাফাত রহমান কোকোর (মরহুম) স্ত্রী সৈয়দা শর্মিলা রহমান, খালেদা জিয়ার বড় বোন ও মেজ বোনের ছেলে সাইফুল ইসলাম ডিউক ও ডন।
এর আগে মেডিকেল বোর্ডের প্রধান অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদার ও সদস্য অধ্যাপক এফএম সিদ্দিকী খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ করেন। ওয়েটিং রুমে আলাপকালে সৈয়দা শর্মিলা রহমান (আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী) জানান, লন্ডনে বড় ছেলে তারেক রহমান, পুত্রবধূ ডা. জোবায়দা রহমান ও জায়মাসহ নাতি-নাতনীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ হবে এ নিয়ে আম্মু (খালেদা জিয়া) উদ্বেলিত। দীর্ঘ ৭ বছর পর তাদের সঙ্গে দেখা হচ্ছে খালেদা জিয়ার।
খালেদা জিয়ার চিকিৎসা হবে লন্ডন ক্লিনিকে। এটি অত্যাধুনিক চিকিৎসার একটি অ্যাডভান্স সেন্টার। ডা. প্যাট্রিক কেনেডির তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা চলবে। চিকিৎসার সামগ্রিক সমন্বয় করবেন তার পুত্রবধূ হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. জোবায়দা রহমান এবং অধ্যাপক ডা. শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে ৬ সদস্যের মেডিকেল টিম। যুক্তরাষ্ট্রের জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ কয়েকজন চিকিৎসকও লন্ডনে আসার সম্ভাবনা রয়েছে।