ঢাকা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মো. কামরুল আলম বলেছেন, মধ্যবয়সীদের মৃত্যুর জন্য প্রধান দায়ী হলো ট্রমা। তাই যথাযথ উপায়ে এ রোগে আক্রান্তদের মাত্রা নির্ণয়ের পর সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে হবে। তবে বিভিন্ন হাসপাতালে প্রশিক্ষক না থাকায় প্রশিক্ষণও কার্যকর হয় না। এক্ষেত্রে সমন্বিত ট্রমা সেন্টার গড়ে তোলার ওপর গুরুত্ব দিতে হবে।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে‘ বাংলাদেশ সোসাইটি অব নিউরোসার্জন্সের উদ্যোগে আয়োজিত বৈজ্ঞানিক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সেমিনারে বিশেষ অতিথি ছিলেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। চিকিৎসা নিশ্চিতের পাশাপাশি ট্রমা রোগীর সংখ্যা কমিয়ে আনতে দুর্ঘটনা কমাতে হবে জানিয়ে তিনি বলেন, ট্রমা প্রতিরোধ ব্যবস্থা জোরদার না করে চিকিৎসার মাধ্যমে সমাধান খুঁজলে হবে না। কারণ এ দিকটি অবহেলিত থাকায় রোগীর সংখ্যা ক্রমাগতই বাড়ছে।
সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সোসাইটি অব নিউরোসার্জনস’র আহবায়ক অধ্যাপক ডা. মো. মওদুদুল হক, সংগঠনটির সদস্য সচিব সহযোগী অধ্যাপক ডা. মো. নুরুজ্জামান খান, সংগঠনটির সদস্য ডা. সুজন শরীফ, ডা. শাহরিয়ার কবির, ডা. সালাহ উদ্দিন, ডা. ইমাম, ডা. তানভীরসহ বিভিন্ন পর্যায়ের চিকিৎসকরা।
বাংলাদেশ সোসাইটি অব নিউরোসার্জন্সের যুগ্ম আহ্বায়ক ডা. জাহিদ রায়হান বলেন, শুধু ঢাকা মেডিকেল কলেজে না পাঠিয়ে ঢাকার টারশিয়ারি সব হাসপাতালে ট্রমার পরিপূর্ণ চিকিৎসা দেয়া প্রয়োজন। তাহলেই এ ধরনের রোগীর চিকিৎসা সংকট কেটে যাবে।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ সোসাইটি অব নিউরোসার্জন্সের আহ্বায়ক বিএসএমএমইউর নিউরোসার্জারি বিভাগের অধ্যাপক ডা. মওদুদুল হক বলেন, ট্রমা বা দুর্ঘটনার জন্য অধিকাংশ ক্ষেতে অসচেতনতা দায়ী। কারণ পাঠ্যসূচিতে এমন জরুরি বিষয় স্থান পায়নি। পেয়েছে ডিম ভাজাসহ নানা হাস্যকর বিষয়। তাই দুর্ঘটনা কমাতে মানুষকে এ ব্যাপারে সচেতন করতে হবে।
কথায় কথায় চিকিৎসকদের ওপর হামলার ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, মৃত্যু অনিবার্য রোগী মারা গেলেও চিকিৎসকের ওপর হামলা করা হয়। এটা আমাদের সংস্কৃতির অংশ হয়ে গেছে। তাই এ ধরনের কর্মকাণ্ড প্রতিরোধে সংশ্লিষ্টদের যথাযথ ব্যবস্থা নেয়ার পরামর্শ দেন এই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা I
কর্মক্ষেত্রে আঘাত: প্রতিরোধ ও ব্যবস্থাপনা’ প্রতিপাদ্যে সারাদেশে পালিত হয়েছে ‘আন্তর্জাতিক ট্রমা দিবস-২০২৪’।
বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৮টায় ঢামেকের সামনে থেকে র্যালিটি বের হয়ে পুরো ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে পরিচালকের কার্যালয়ে এসে শেষ হয়।