বিদ্রোহীরা সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পতন হয় আসাদ সরকারের। বিদ্রোহীরা যখন রাজধানীতে ঢুকে পড়ে, তখনই একটি বিমানে করে দেশ ছাড়েন বাশার আল আসাদ। কিন্তু দেশ ছেড়ে পালানোর আগে প্রেসিডেন্ট আসাদ কি পদত্যাগ করেছেন? কাউকে কিছু কি বলে গেছেন?
রোববার (৮ ডিসেম্বর) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, আসাদ সরকারের মিত্র রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে একটি বিবৃতি জারি করা হয়েছে। যেখানে দাবি করা হয়, বাশার আল আসাদ পদত্যাগ করেছেন। এরপর সিরিয়া ছেড়েছেন এবং শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তরের নির্দেশ দিয়েছেন।
মস্কো আরও বলেছে, তারা সিরিয়ার বিরোধী দলগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ করছে এবং সিরীয় নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পদক্ষেপ নিচ্ছে।
রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আসাদকে উদ্ধৃত করে আরও বলেছে, ‘আমরা সহিংসতার পথ পরিত্যাগ করার জন্য সমস্ত বিরোধীদলের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি এবং সমস্যাগুলোকে রাজনৈতিক উপায়ে সমাধান করার জন্য সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের কাছে আবেদন করছি।’
এদিকে সিরিয়ার নিয়ন্ত্রণ নেওয়া বিদ্রোহীরা বিকেল ৪টা থেকে ভোর ৫টা পর্যন্ত রাজধানী দামেস্কে কারফিউ ঘোষণা করেছে। এর আগে অবিশ্বাস্য গতিতে একের পর এক শহর দখল করে নেয় বিদ্রোহীরা।
জানা গেছে, সিরিয়ার সমস্ত সামরিক ঘাঁটি বিদোহীদের নিয়ন্ত্রণে সর্বোচ্চ সতর্কাবস্থায় রয়েছে।
এর আগে আসাদ সরকারের পতনের পর প্রতিক্রিয়া জানিয়ে এক সংক্ষিপ্ত বিবৃতি প্রকাশ করেছে হোয়াইট হাউস। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘প্রেসিডেন্ট বাইডেন ও তার দল সিরিয়ার অসাধারণ ঘটনা ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। পাশাপাশি আঞ্চলিক অংশীদারদের সঙ্গেও অবিচ্ছিন্ন যোগাযোগ রাখছে।’
অন্যদিকে প্রেসিডেন্টের পালিয়ে যাওয়ার পর সিরিয়ার প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ আল জালালি বলেছেন, জনগণের দ্বারা নির্বাচিত যে কোনো নেতৃত্বকে সহযোগিতা করতে প্রস্তুত। তিনি বলেন, তার বাড়ি ছেড়ে যাওয়ার পরিকল্পনা নেই। সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো সচল রাখতে কাজ করবেন।
আর বিদ্রোহী দলের প্রধান জানিয়েছেন, আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর না হওয়া পর্যন্ত সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো প্রধানমন্ত্রীর অধীনে থাকবে।