মন্ত্রিসভা থেকে টিউলিপ সিদ্দিককে বরখাস্ত করতে প্রধানমন্ত্রী কেয়ার স্টারমারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন দেশটির প্রধান বিরোধী দল কনজারভেটিভ পার্টির প্রধান কেমি ব্যাডেনোচ।
টিউলিপ ও তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে বাংলাদেশে অবকাঠামো খাতে ৩৯০ কোটি পাউন্ড আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে। খবর বিবিসি।
এক্স-এ এক পোস্টে কেমি ব্যাডেনোচ বলেছেন, ‘কেয়ার স্টারমারের সময় এসেছে টিউলিপ সিদ্দিককে বরখাস্ত করার। প্রধানমন্ত্রী তার ব্যক্তিগত বন্ধুকে দুর্নীতিবিরোধী মন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন এবং তিনি নিজেই দুর্নীতির অভিযোগে অভিযুক্ত।’
বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস সানডে টাইমসকে বলেছেন, গত বছর বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর পদচ্যুত এবং দুর্নীতি তদন্তের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকা তার খালা শেখ হাসিনার সঙ্গে তার সম্পর্ক রয়েছে, এমন প্রতিবেদনের পর সিদ্দিকের ক্ষমা চাওয়া উচিত।
সিদ্দিক নিজেকে প্রধানমন্ত্রীর স্ট্যান্ডার্ড উপদেষ্টার কাছে উল্লেখ করেছেন এবং জোর দিয়ে বলেছেন যে তিনি কোনো ভুল করেননি।
সরকারের মন্ত্রীদের মান নিয়ন্ত্রণকারী স্যার লরি ম্যাগনাসকে লেখা এক চিঠিতে টিউলিপ বলেছেন, ‘আমি স্পষ্ট করে বলছি, আমি কোনো ভুল করিনি।’
ডাউনিং স্ট্রিট এর আগে নিশ্চিত করেছিল যে স্যার লরি এখন তদন্তসহ ‘আরও পদক্ষেপ’ প্রয়োজন কিনা তা নির্ধারণের জন্য একটি ‘তথ্য-অনুসন্ধান’ অনুশীলন করবেন।
ব্যাডেনোচ বলেন, টিউলিপ বিভ্রান্তিতে পরিণত হয়েছেন। তাকে সরকারের আর্থিক সমস্যা মোকাবিলায় মনোনিবেশ করা উচিত।