রেলের রানিং স্টাফদের দাবি মেনে নেয়ার আশ্বাসে কর্মবিরতি প্রত্যাহার করেছেন তারা। বুধবার ভোর থেকেই শুরু হয়েছে রেল চলাচল। রাজশাহী থেকে সাগরদাঁড়ি এক্সপ্রেস ৬টা ১০ মিনিটে খুলনার উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করে।
মঙ্গলবার রাত ৪টায় রেলপথ মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা রেজাউল করিম সিদ্দিকীর পাঠানো এক ক্ষুদে বার্তায় বলা হয়, বাংলাদেশ রেলওয়ের রানিং স্টাফরা তাদের কর্মবিরতি প্রত্যাহার করেছেন। ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হচ্ছে। যাত্রীদের সুবিধার্থে সাময়িক ব্যবস্থাপনায় দেশের বিভিন্ন গন্তব্য অভিমুখে এবং বিভিন্ন গন্তব্য থেকে ঢাকা অভিমুখে চলমান বিআরটিসি বাস সার্ভিস প্রত্যাহার করা হয়েছে।
এর আগে রাত পৌনে তিনটায় রানিং স্টাফদের নেতা সাইদুর রহমান জানান, কর্মবিরতি প্রত্যাহার করা হয়েছে। রাত থেকেই ট্রেন চলাচল শুরু হবে। উপদেষ্টা আমাদের আশ্বস্ত করেছেন বুধবার মধ্যে আমাদের দাবি মেনে নিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে। সড়ক ও রেল উপদেষ্টার বাসায় এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
প্রসঙ্গত, নিয়ম অনুযায়ী একজন রানিং স্টাফ (চালক, সহকারী চালক, গার্ড, টিকিট চেকার) ট্রেনে দায়িত্ব পালন শেষে তার নিয়োগপ্রাপ্ত এলাকায় (হেডকোয়ার্টার) হলে ১২ ঘণ্টা এবং এলাকার বাইরে (আউটার স্টেশন) হলে ৮ ঘণ্টা বিশ্রামের সুযোগ পান। রেলওয়ের স্বার্থে কোনো রানিং স্টাফকে তার বিশ্রামের সময়ে কাজে যুক্ত করলে বাড়তি ভাতা-সুবিধা দেওয়া হয়। যা রেলওয়েতে ‘মাইলেজ’ সুবিধা হিসেবে পরিচিত।
রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, ২০২১ সালের ৩ নভেম্বর অর্থ মন্ত্রণালয় মাইলেজ সুবিধা সীমিত করতে রেল মন্ত্রণালয়কে চিঠি দেয়। ওই চিঠিতে আনলিমিটেড মাইলেজ সুবিধা বাদ দিয়ে তা সর্বোচ্চ ৩০ কর্মদিবসের সমপরিমাণ করার কথা জানানো হয়। এ ছাড়া বেসামরিক কর্মচারী হিসেবে রানিং স্টাফদের পেনশন ও আনুতোষিক ভাতায় মূল বেতনের সঙ্গে পাওয়া ভাতা যোগ করার বিষয়টি বাদ দেওয়া হয়।
এরপরই ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন রানিং স্টাফরা। এ বিষয়ে রেলপথ মন্ত্রণালয় থেকে আবারও অর্থ মন্ত্রণালয়ের মতামত জানতে চাইলে সর্বশেষ গত ২৩ জানুয়ারি অর্থ মন্ত্রণালয় রেলপথ মন্ত্রণালয়কে জানায়, ‘২০২২ সালের ২১ আগস্ট অর্থ বিভাগের ৯১নং স্মারকে জারি করা পত্রের (খ) অনুচ্ছেদটি অপরিবর্তিত রাখা হলো এবং (ক) অনুচ্ছেদটি নিম্নরূপে সংশোধন করা হলো।