banglanews
Sunday , 2 February 2025 | [bangla_date]
  1. আইন-আদালত
  2. আপনার জন্য
  3. আলোচিত সংবাদ
  4. একটু থামুন
  5. খেলা
  6. চাকরি
  7. জীবনযাপন
  8. জেলা সংবাদ
  9. ডাক্তার আছেন
  10. দুর্নীতি
  11. ধর্ম ও জীবন
  12. নির্বাচিত কলাম
  13. প্রবাস জীবন
  14. প্রযুক্তি
  15. বাণিজ্য

গ্রীষ্ম মৌসুমে বিদ্যুতের তীব্র সংকটের আশঙ্কা

প্রতিবেদক
নিউজ ডেক্স
February 2, 2025 10:14 am

আসন্ন সেচ ও গ্রীষ্ম মৌসুমে তীব্র বিদ্যুৎ সংকটে পড়তে যাচ্ছে দেশ। পাশাপাশি মার্চে শুরু হচ্ছে পবিত্র রমজান। ওই সময় ১৮ হাজার মেগাওয়াট চাহিদার বিপরীতে সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদন হতে পারে ১৪ হাজার মেগাওয়াটের মতো। চার হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুতের ঘাটতি মেটানোর আপাতত কোনো ব্যবস্থা নেই।

এদিকে শীত শেষ হওয়ার আগেই শহরের কিছু এলাকা ও গ্রামে লোডশেডিং শুরু হয়েছে। ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝিতে সারাদেশে শুরু হচ্ছে কৃষকদের সেচ কার্যক্রম। মার্চ থেকে গ্রীষ্ম শুরু হচ্ছে। এসব কারণে গোটা দেশ তীব্র বিদ্যুৎ সংকটে পড়তে যাচ্ছে বলে আশঙ্কা করছেন বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের সংশ্লিষ্টরা।

বিদ্যুৎ বিভাগ, বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড, জ্বালানি ও বিদ্যুৎ বিশেষজ্ঞ এবং ভোক্তা পর্যায়ের সর্বত্র আগাম লোডশেডিং নিয়ে ব্যাপক আলোচনা হচ্ছে। তাদের মতে, গতবারের মতো এবারও ভোগান্তিতে পড়বে সাধারণ মানুষ। খাতসংশ্লিষ্টরা বলছেন, বর্তমান সরকার বিদ্যুৎখাতের পরিস্থিতি মোকাবিলায় কার্যত অসহায় হয়ে পড়েছে।

বিদ্যুৎ ও জ্বালানির তীব্র সংকটের জন্য পতিত হাসিনা সরকারের সীমাহীন লুটপাট, দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনাকে দায়ী করছেন অন্তর্বর্তী সরকারের বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। তিনি জানান, সংকট উত্তরণে সরকার নানামুখী পদক্ষেপ নিচ্ছে।

বিদ্যুৎ বিভাগের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, বিদ্যুৎ উৎপাদন, শিল্পকারখানাসহ বিভিন্ন খাতে গ্যাসের চাহিদা বাড়লেও উত্তোলন ও সরবরাহ বাড়েনি। গত ১৮ বছরে দেশে নতুন কূপও খনন হয়নি। উপরন্তু বিদ্যুৎখাতে বিগত হাসিনা সরকারের রেখে যাওয়া ৪০ হাজার কোটি টাকার দায়দেনা নিয়ে হিমশিম খাচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার। বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) কাছ থেকে বকেয়া না পেয়ে নতুন করে জ্বালানি আমদানির এলসিও খুলতে পারছে না বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো। কর্মকর্তারা জানান, আসন্ন রমজান মাসে বাড়তি বিদ্যুতের প্রয়োজন হবে, এর জন্য এখনো প্রস্তুতি নেওয়া যায়নি।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিগত হাসিনা সরকার বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে কোনো সিস্টেম (পদ্ধতি) বা নিয়মনীতির তোয়াক্কা করেনি। এ সরকারও অভিজ্ঞদের সঙ্গে পরামর্শ করে আসন্ন সংকট মোকাবিলায় কোনো রোডম্যাপ তৈরি করতে পারেনি। এতে দেনার পরিমাণ দিনদিন আরো বাড়ছে। এখনো পিডিবিকে প্রতি ইউনিট বিদ্যুতে চার টাকা লোকসান দিতে হচ্ছে।

উদ্যোক্তারা জানিয়েছেন, বিদ্যুতের বকেয়া বিল না পাওয়ার কারণে তারা বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য প্রাথমিক জ্বালানি আমদানি করতে পারছেন না। দিনদিন সরকারের কাছে বকেয়া অর্থের পরিমাণ বেড়ে চলেছে। গ্যাসের সংকট তীব্র হওয়ায় পরিস্থিতি সামাল দিতে হলে উচ্চদামের ডিজেলভিত্তিক কেন্দ্রগুলো চালাতে হবে। এতে সরকারের ব্যয় ও লোকসান আরো বাড়বে। লোডশেডিং হলে তৃণমূল পর্যায়ে সেচেও ডিজেলচালিত সেচপাম্পের আশ্রয় নেবেন প্রান্তিক কৃষকরা। এতেও তাদের কৃষি উৎপাদন খরচ বাড়বে।

চাহিদা ১৮ হাজার মেগাওয়াট

সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মার্চে দেশে বিদ্যুতের চাহিদা ১৮ হাজার মেগাওয়াটের বেশি হবে। এ চাহিদা মেটাতে গ্যাসিভিত্তিক কেন্দ্রগুলো থেকে ছয় হাজার ৪০০ মেগাওয়াট, কয়লা থেকে পাঁচ হাজার ৫৫৮ মেগাওয়াট, ফার্নেস অয়েলভিত্তিক কেন্দ্র থেকে চার হাজার ১৪৯ মেগাওয়াট এবং অন্যান্য উৎস থেকে দুই হাজার ১২৫ মেগাওয়াট বিদ্যুতের সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে, যা অনেকটাই দুরূহ বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এর মধ্যে ফার্নেস অয়েলভিত্তিক কেন্দ্রগুলোর সবই বেসরকারি খাতে। বকেয়া বিল না পাওয়ার কারণে এসব উদ্যোক্তারা জ্বালানি আমদানি করতে পারছেন না। ফলে গ্রীষ্মে ফার্নেস অয়েলচালিত কেন্দ্রগুলো চালানো নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। এ ছাড়া গ্যাস ও কয়লাসংকটের কারণে বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়ানোর পরিকল্পনাও অনিশ্চিত হয়ে পড়ছে।

সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, দেশে বর্তমানে বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা আছে প্রায় ২৭ হাজার মেগাওয়াট। তবে সর্বোচ্চ চাহিদার সময়ও ১৪ থেকে ১৫ হাজার মেগাওয়াটের বেশি উৎপাদন করা সম্ভব হয়নি।

গলার কাঁটা বিদ্যুৎখাতের বকেয়া

পিডিবি সূত্র জানায়, গত নভেম্বর পর্যন্ত প্রতিষ্ঠানটির বকেয়া ৪০ হাজার কোটি টাকার বেশি। এর মধ্যে বিদ্যুৎকেন্দ্রে ব্যবহৃত গ্যাস বিল বাবদ বকেয়া জমেছে ১৯ হাজার কোটি টাকা। আর ২১ হাজার কোটি টাকার বেশি পাবে সরকারি–বেসরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো। বেসরকারি খাতে বকেয়ার পরিমাণ প্রায় ১৬ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে ফার্নেস অয়েলভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের বকেয়া ১০ হাজার কোটি টাকা। আর অন্যান্য বিদ্যুৎকেন্দ্রের বিপরীতে বকেয়া ছয় হাজার কোটি টাকার মতো। বকেয়া শোধ না হলে জ্বালানি আমদানি করে উৎপাদন ধরে রাখতে পারবে না এসব বিদ্যুৎকেন্দ্র। পাশাপাশি বকেয়া গ্যাস বিল না দিলে পিডিবিকে গ্যাস সরবরাহ অব্যাহত রাখতে পারবে না বলে ইতিমধ্যেই পেট্রোবাংলাও জানিয়ে দিয়েছে।

পিডিবি জানিয়েছে, ভারতের আদানির কাছে বাংলাদেশের বকেয়া আট হাজার ৪০০ কোটি টাকা। দেনা শোধে আদানি জুন পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছে। তবে আদানির এ বিদ্যুৎকেন্দ্রের কয়লার বিল নিয়ে বাংলাদেশের প্রবল আপত্তি রয়েছে।

বেসরকারি খাতের উদ্যোক্তারা জানিয়েছেন, বিদ্যুতের বিল ৩০ দিনের মধ্যে পরিশোধের বাধ্যবাধকতা থাকলেও পিডিবি তা দিতে পারছে না। এ কারণে বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য প্রয়োজনীয় জ্বালানি তেল আমদানিও সম্ভব হচ্ছে না। এখন বিল পাওয়া না গেলে গ্রীষ্মে বিদ্যুৎকেন্দ্র চালানো সম্ভব হবে না। যে কারণে আসন্ন গ্রীষ্মে ফার্নেস অয়েলভিত্তিক কেন্দ্রগুলো থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ সম্ভব হবে না।

দেশীয় উদ্যোক্তারা জানান, আমদানি করা বিদ্যুতের মধ্যে সবচেয়ে বেশি আসে ভারতের আদানি পাওয়ার থেকে। বিগত হাসিনার সরকার আদানির বিদ্যুতের ওপর কোনো ট্যাক্স-ভ্যাট আরোপ করেনি। তবে তেলের ওপর ১৫ শতাংশের বেশি ট্যাক্স-ভ্যাট রয়েছে। আদানির ট্যাক্স না থাকার পরও ইউনিটপ্রতি দাম পড়ছে ১৭ টাকা ২০ পয়সা। আর তেল আমদানির ওপর ভ্যাট-ট্যাক্স দিয়েও ইউনিটপ্রতি খরচ হয় ১৭ টাকা ৬ পয়সা। তেলের ট্যাক্স বাদ দিলে খরচ আরো কমে আসবে। এসব কারণে সরকারকে বিপুল পরিমাণ অর্থ গচ্চা দিতে হচ্ছে।

পরিবহন খরচ বাড়ছে তাপবিদ্যুতের কয়লার

সমুদ্রবন্দরগুলো ব্যবহার করে দেশের তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর জন্য কয়লা পরিবহনের বিপরীতে রক্ষণাবেক্ষণ চার্জ নিয়ে বিদ্যুৎ বিভাগ ও নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের মধ্যে বিরোধ চলছে বেশ আগে থেকেই।

তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র করার সময় বন্দর কর্তৃপক্ষের পক্ষে কয়লা পরিবহনের জন্য প্রয়োজনীয় নাব্য নিশ্চিতের বিষয়ে চুক্তি হয়। কিন্তু সে অনুযায়ী কখনোই নাব্য পাওয়া যায়নি। ফলে ৪০ থেকে ৫০ হাজার মেট্রিক টন ধারণক্ষমতার জাহাজ কয়লা নিয়ে মাঝসমুদ্রে নোঙর করে। সেখান থেকে ছোট ছোট লাইটারেজ জাহাজে করে কয়লা পরিবহন করে বিদ্যুৎকেন্দ্রে আনা হয়। এতে খরচ বেশি পড়ে। এখন আবার চ্যানেলের নাব্য ঠিক রাখতে রক্ষণাবেক্ষণ ফি নেওয়া হলে খরচ অনেক বেড়ে যাবে। তখন উৎপাদন খরচ বাড়বে। পিডিবিকে বেশি দামে বিদ্যুৎ কিনতে হবে। চলমান বিরোধ নিরসনে গত বৃহস্পতিবার অর্থ উপদেষ্টার সভাপতিত্বে সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় এ বিরোধ নিরসনে একটি কমিটি করে দেওয়া হয়। কমিটিকে আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে প্রতিবেদন পেশ করতে বলা হয়েছে।

ওই প্রতিবেদনের ভিত্তিতে সরকার সিদ্ধান্ত নেবে বলে একজন কর্মকর্তা আমার দেশকে নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, কয়লা পরিবহন নিয়ে অনিশ্চয়তার কারণে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো চালালে বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যয়ও বেড়ে যাবে।

জ্বালানি বিভাগ সূত্র জানিয়েছে, চলতি অর্থবছরে পটুয়াখালী বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য কয়লা পরিবহনে অতিরিক্ত ৩৬০ কোটি টাকা চ্যানেল রক্ষণাবেক্ষণ ফি পরিশোধ করতে হবে। বাংলাদেশ চায়না পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেডের মালিকানাধীন পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্রের বিপরীতে চ্যানেল রক্ষণাবেক্ষণ ফি বাবদ ৮৩৯ কোটি ৬৫ লাখ ৯ হাজার ২২১ টাকা এবং মাতারবাড়ী তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের বিপরীতে চ্যানেল রক্ষণাবেক্ষণ ফি বাবদ ৪০০ কোটি টাকা দাবি করা হয়েছে।

গ্যাস সংকট প্রভাব ফেলবে বিদ্যুৎ উৎপাদনে

দেশে সরকারি-বেসরকারি খাত মিলিয়ে ৩০টির বেশি ছোটবড় বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ রয়েছে। জ্বালানি দিতে না পারায় এসব কেন্দ্রে এখন উৎপাদন বন্ধ। পেট্রোবাংলার হিসাব অনুযায়ী, বিদ্যুৎখাতে গ্যাসের চাহিদা দৈনিক আড়াই হাজার মিলিয়ন ঘনফুট। আগামী মার্চে পিডিবি থেকে পেট্রোবাংলার কাছে বিদ্যুৎ উৎপাদনে এক হাজার ৬০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসের চাহিদা দেওয়া হয়েছে।

তবে পেট্রোবাংলা বলছে, চাহিদার বিপরীতে সর্বোচ্চ এক হাজার ২০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করা যাবে। বাস্তবতা হচ্ছে, বিদ্যুৎখাতে এক হাজার মিলিয়ন ঘনফুটের বেশি গ্যাস সরবরাহ করা সম্ভব হবে না বলে পেট্রোবাংলার একাধিক কর্মকর্তা আমার দেশকে জানিয়েছেন।

এবার বাড়তে পারে সেচ খরচও

দেশে আগামী মার্চ থেকে শুরু হচ্ছে সেচ মৌসুম। এ মৌসুমে প্রান্তিক কৃষকরা বিদ্যুৎচালিত সেচপাম্প ব্যবহার করে। কিন্তু আসন্ন মৌসুমে বিদ্যুতের সংকট তৈরি হলে ডিজেলচালিত সেচপাম্প ব্যবহার করতে হবে তাদের। এতে ফসল উৎপাদনে খরচ বেড়ে যাবে। উৎপাদন খরচ বেড়ে গেলে কৃষিপণ্যের দামও বাড়বে।

গতকাল শনিবার বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়েছে ১০ হাজার ৪৬৪ মেগাওয়াট। এদিন দুপুরে লোডশেডিং ছিল ৫৪ মেগাওয়াট। শীত মৌসুম চলে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বিদ্যুতের চাহিদা ও লোডশেডিং বাড়তে থাকবে বলে আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

সংকট মোকাবিলায় নানা পদক্ষেপ

অন্তর্বর্তী সরকারের বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান আমার দেশকে বলেন, আমাদের মাথার ওপর বিশাল দেনার চাপ। পর্যাপ্ত পরিমাণ বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করা হলেও এগুলোর জন্য জ্বালানি সরবরাহ নিশ্চিত করা হয়নি। পাইপলাইন না করেও বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। অব্যবস্থাপনা ও দুর্নীতির সব সীমা শেখ হাসিনার সরকার অতিক্রম করে গেছে। ব্যাংকগুলোতেও পর্যাপ্ত টাকা নেই। এখন জ্বালানি আমদানি করব, সে পরিমাণ ডলারও নেই।

সংকট মোকাবিলায় সরকারের পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, রমজানে যাতে জনগণের দুর্ভোগ না হয় এবং সেচ ও গ্রীষ্মকালে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য আমরা বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছি। দ্রুত জ্বালানি আমদানি ও সরবরাহের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর বকেয়া পরিশোধের বিষয়েও আলোচনা হচ্ছে। আশা করছি, সংকট কাটিয়ে উঠতে পারব।

সামনের গ্রীষ্ম ও সেচ মৌসুমকে অগ্রাধিকার দেওয়ার কথা বলেছেন বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) চেয়ারম্যান রেজাউল করিম। আমার দেশকে তিনি বলেন, বর্তমানে ব্যাংকগুলোর যে দুরবস্থা, সেদিকে নজর রেখেই আমাদের পরিকল্পনা নিতে হচ্ছে। এক্ষেত্রে সরকারের আন্তরিক সহযোগিতা পাচ্ছি। আশা করছি, সবার সহযোগিতা অব্যাহত থাকলে সংকট কাটিয়ে উঠতে পারব।

জ্বালানি সরবরাহে জোর বিশেষজ্ঞদের

জ্বালানি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড. ম তামিম আমার দেশকে বলেন, পর্যাপ্ত বিদ্যুৎ উৎপাদনের সক্ষমতা আমাদের থাকলেও মূল সমস্যা হচ্ছে জ্বালানি সরবরাহে। বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর বকেয়া বাড়তে থাকায় তাদের পক্ষেও নতুনভাবে জ্বালানি আমদানি করে বিদ্যুৎকেন্দ্র সচল রাখা সম্ভব হচ্ছে না। পরিস্থিতি মোকাবিলায় এখন সরকার যত দ্রুত জ্বালানি আমদানির উদ্যোগ নেবে, তত তাড়াতাড়ি আপদকালীন পরিস্থিতি মোকাবিলা সম্ভব হবে।

বাংলাদেশ ইনডিপেনডেন্ট পাওয়ার প্রডিউসারস অ্যাসোসিয়েশনের (বিপ্পা) সভাপতি কে এম রেজাউল হাসনাত আমার দেশকে বলেন, বিগত সরকারের সীমাহীন অনিয়ম ও আর্থিক লুটপাটের খেসারত দিতে হচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকারকে। আগামী দিনে বিদ্যুৎ নিয়ে যে সংকটের আশঙ্কা দেখা যাচ্ছে তা মোকাবিলায় সব পক্ষকেই সম্মিলিতভাবে এগিয়ে আসতে হবে। পাশাপাশি দীর্ঘমেয়াদি সমাধানের পথও বের করতে হবে।

Facebook Comments Box

সর্বশেষ - খেলা