ফরিদপুরের সালথায় বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ ইসলাম রিংকুর গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় করা পৃথক দুটি মামলায় মো. হাবিবুর রহমান (৫০) নামে গট্টি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার গট্টি ইউনিয়ন পরিষদ এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
জানা গেছে, হাবিবুর রহমান লাবলু গট্টি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান। লাবলু একসময় বিএনপির প্রভাবশালী নেতা ছিলেন। তবে বছর দশেক আগে সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর হাতে ফুলের তোড়া দিয়ে বিএনপি থেকে আওয়ামী লীগ যোগদান করেন। এরপর তাকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। তিনি পরপর দুই বার নৌকা প্রতীক নিয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। সবশেষ তিনি ফরিদপুর-২ (সালথা-নগরকান্দা) আসনের আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি শাহদাব আকবর লাবু চৌধুরীর প্রধান সহযোগী হিসেবে কাজ করে আসছিলেন।
সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আতাউর রহমান বলেন, বিএনপি নেত্রী শামা ওবায়েদের গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় পৃথক দুটি দ্রুত বিচার আইনের মামলার ওয়ারেন্টভূক্ত আসামি ছিলেন ইউপি চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান লাবলু। মঙ্গলবার দুপুরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গট্টি ইউনিয়ন পরিষদ এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। আইনী প্রক্রিয়া শেষে তাকে আদালতে পাঠানো হবে।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০১৮ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ফরিদপুর-২ (সালথা-নগরকান্দা) আসনে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে লড়াই করেন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ ইসলাম রিংকু। ২০১৮ সালের ২৬ ডিসেম্বর নির্বাচন উপলক্ষে সালথা কলেজ মাঠে শামা ওবায়েদের পক্ষে একটি জনসভার আয়োজন করে স্থানীয় বিএনপি। ওই জনসভায় হামলা চালায় স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। এ সময় শামা ওবায়েদের গাড়িও ভাঙচুর করা হয়।
গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর শামা ওবায়েদের গাড়ি ভাঙচুরের ওই ঘটনায় স্থানীয় আওয়ামী লীগের ৮২ নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা ২০০-৩০০ জনকে আসামি করে সালথা থানায় দ্রুত বিচার আইনে একটি মামলা দায়ের করেন সালথা উপজেলা বিএনপির সদস্য আব্দুর রব মাতুব্বর। ওই মামলায় ৩ নম্বর আসামি করা হয় ইউপি চেয়ারম্যান লাবলুকে। এ ছাড়া শামা ওবায়েদের গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনার আরেকটি মামলার আসামিও ইউপি চেয়ারম্যান লাবলু।
অন্যান্য খবরঃ
লালগালিচায় ঢাকার খালে নেমে খননের উদ্বোধন তিন উপদেষ্টার