banglanews
Friday , 14 February 2025 | [bangla_date]
  1. আইন-আদালত
  2. আপনার জন্য
  3. আলোচিত সংবাদ
  4. একটু থামুন
  5. খেলা
  6. চাকরি
  7. জীবনযাপন
  8. জেলা সংবাদ
  9. ডাক্তার আছেন
  10. দুর্নীতি
  11. ধর্ম ও জীবন
  12. নির্বাচিত কলাম
  13. প্রবাস জীবন
  14. প্রযুক্তি
  15. বাণিজ্য

রমজানে নিত্যপণ্যের সংকট তৈরির চেষ্টা ব্যবসায়ীদের

প্রতিবেদক
নিউজ ডেক্স
February 14, 2025 10:40 am
রমজান

রমজানকে টার্গেট করে বেশ কয়েক মাস আগে থেকেই নিত্যপণ্য আমদানি করেন ব্যবসায়ীরা। বিভিন্ন সংকট থাকলেও রমজানে জনগণকে স্বস্তি দিতে এলসি সহায়তার পাশাপাশি আমদানি-রপ্তানিতে নীতিগত সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। সব মিলিয়ে পাইকারি বাজারে পণ্যের অভাব নেই এ বছর। কিন্তু শেষ সময়ে এসে কৃত্রিম সংকট তৈরির অপচেষ্টা শুরু হয়েছে।

এ কাজে বেছে নেয়া হয়েছে লাইটার জাহাজগুলোকে। দেশের বিভিন্ন ঘাটে ভাসমান গুদাম হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে সাড়ে তিন শতাধিক লাইটার জাহাজ। ফলে ভেঙে পড়েছে সাপ্লাই চেইন। অভ্যন্তরীণ নৌরুটে পণ্য পরিবহনের কাজে প্রায় দেড় হাজার লাইটার জাহাজ চলাচল করে, যার বেশিরভাগই চট্টগ্রাম বন্দরকেন্দ্রিক। বহির্নোঙরে নোঙর করা মাদার ভেসেল থেকে পণ্য খালাস করে দেশের বিভিন্ন ঘাটে পৌঁছে দেয় এই লাইটার জাহাজগুলো।

তবে হালে চট্টগ্রামের তুলনায় মংলা ও পায়রায় মাসুল কম হওয়ায় আমদানি-রপ্তানির ক্ষেত্রে ওই দিকে ঝুঁকেছেন ব্যবসায়ীরা। ফলে অনেক জাহাজ চট্টগ্রামের দিকে আসছে না নিয়মিত। এতে বেশ কয়েক মাস ধরেই লাইটার জাহাজের টান পড়তে শুরু করেছে চট্টগ্রামে। সাম্প্রতি এ সংকট প্রকট আকার ধারণ করেছে।

লাইটার জাহাজ না থাকায় বহির্নোঙরে মাদার ভেসেল থেকে পণ্য খালাস ব্যাহত হচ্ছে। এতে একদিকে বন্দরে জাহাজের গড় অবস্থানকাল বাড়ছে, অন্যদিকে ডেমারেজ চার্জ গুনতে হচ্ছে আমদানিকারকদের। এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে ভোক্তাদের ওপর।

খাতুনগঞ্জ হামিদ উল্লাহ মার্কেট ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক হাজী মোহাম্মদ ইদ্রিস জানান, রমজানকে কেন্দ্র করে আমদানি করা বিপুল পরিমাণ পণ্য বাংলাদেশের জলসীমায় এসে পৌঁছলেও একটি স্বার্থান্বেষী মহলের কারণে তা বাজারে আসছে না। এক শ্রেণির বড় আমদানিকারকরা লাইটার জাহাজ আটকে রাখায় কৃত্রিম সংকট তৈরি হচ্ছে। এভাবে চললে রমজানের মধ্যে নিত্যপণ্যের বাজারে অস্থিরতা তৈরি হবে।

লাইটার জাহাজ চালক শ্রমিক সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানায়, রমজানের আগ মুহূর্তসহ বছরের বিভিন্ন সময়ে পণ্যের মজুত বেশি থাকায় বিভিন্ন এলাকায় গুদামের সংকট তৈরি হয়। জাহাজ ভাড়ার চেয়ে অনেক এলাকায় গুদাম ভাড়া বেড়ে যায়। এসব কারণেও অনেকে লাইটার জাহাজকে ভাসমান গুদাম হিসেবে ব্যবহার করেন। কিন্তু এবার এই পরিমাণটা অন্যান্যবারের চেয়ে বেশি।

লাইটার জাহাজ মালিকদের সংগঠন আইভোয়াকের সহ-সভাপতি পারভেজ আহমেদ জানান, বর্তমানে চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে পণ্যবোঝাই ৪৮টি লাইটার জাহাজ ভাসমান অবস্থায় আছে। পণ্য খালাস করতে মাদার ভেসেলপ্রতি ১৩টি করে লাইটার জাহাজের চাহিদাপত্র পাঠানো হয়। কিন্তু পর্যাপ্ত লাইটার একটি জাহাজেও পাঠানো সম্ভব হয়নি। এ ছাড়া ১৩টি মাদার ভেসেলে একটি লাইটারও লাগেনি।

ফলে প্রতিটি মাদার ভেসেলে দৈনিক ২০ হাজার ডলার করে ডেমারেজ চার্জ পরিশোধ করতে হচ্ছে আমদানিকারকদের। বাড়তি এই খরচ ভোক্তার ওপর গিয়ে পড়বে। ফলে সংকট সমাধানে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

এদিকে নৌ পরিবহন অধিদফতর থেকে পাঠানো প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, রমজানে বাজার স্বাভাবিক রাখতে বেশকিছু খাদ্যপণ্যের ওপর শুল্ক কমানোসহ নানামুখী উদ্যোগ নিয়েছে সরকার, যার ফলে স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে বেশি পণ্য আমদানি করেছেন ব্যবসায়ীরা। কিন্তু লাইটার জাহাজ সংকটের কারণে তা বাজারে পৌঁছাচ্ছে না। যেসব আমদানিকারক লাইটার জাহাজগুলোকে ভাসমান গুদাম হিসেবে ব্যবহার করছেন, তাদের বিরুদ্ধে শিগগিরই অভিযান পরিচালনা করার হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন নৌ পরিবহন অধিদফতরের মহাপরিচালক কমোডর মোহাম্মদ মাকসুদ আলম।

Facebook Comments Box

সর্বশেষ - খেলা