ঝিনাইদহের শৈলকুপায় তিনজনকে গুলি করে হত্যা করেছে সন্ত্রাসী বাহিনী। শুক্রবার রাতে উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের রামচন্দ্রপুর গ্রামের শ্মশানঘাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- হরিণাকুন্ডু উপজেলার রামনগর গ্রামের রাহাজুদ্দিনের ছেলে হানিফ আলী, একই উপজেলার শ্রীরামপুর গ্রামের উম্বাদ আলীর ছেলে লিটন। দুজনই পূর্ব বাংলা কমিউনিস্ট পার্টির নেতা ছিলেন।
এদিকে, এ হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করে গণমাধ্যমকর্মীদের হোয়াটসঅ্যাপে খুদে বার্তা পাঠিয়েছেন জাসদ গণবাহিনীর কালু।
খুদে বার্তায় বলা হয়, ‘ঝিনাইদহ, চুয়াডাঙ্গা, মাগুরা, কুষ্টিয়া, যশোর ও খুলনাবাসীর উদ্দেশে জানানো যাচ্ছে, পূর্ব বাংলা কমিউনিস্ট পার্টি নামধারী কুখ্যাত ডাকাত বাহিনীর শীর্ষ নেতা অসংখ্য খুন, গুম, দখলদারী, ডাকাতি, ধর্ষণের অভিযোগে অভিযুক্ত হরিণাকুণ্ডুনিবাসী হানিফ তার দুই সহযোগীসহ জাসদ গণবাহিনীর সদস্যদের হাতে নিহত হয়েছেন। তাদের লাশ রামচন্দ্রপুর ও পিয়ারপুর ক্যানালের পাশে রাখা আছে। এই অঞ্চলের হানিফের সহযোগীদের শুধরে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হলো। অন্যথায় আপনাদের একই পরিণতির মুখোমুখি হতে হবে।’
স্থানীয়রা জানায়, দীর্ঘদিন ধরে কুষ্টিয়া, ঝিনাইদহ ও চুয়াডাঙ্গা এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে পূর্ব বাংলা কমিউনিস্ট পার্টির সঙ্গে জাসদ গণবাহিনীর দ্বন্দ্ব চলছিল। শুক্রবার রাতে রামচন্দ্রটুর শ্মশানঘাট এলাকায় পূর্ব বাংলা কমিউনিস্ট পার্টির নেতাদের গোপন বৈঠকের খবর পায় প্রতিপক্ষ বাহিনী। এরই জেরে কালুর নেতৃত্বে ওই তিনজনকে হত্যা করা হয় বলে ধারণা স্থানীয়দের।
শৈলকুপা থানার ওসি মাসুম খান বলেন, রাত সাড়ে ১১টার দিকে বেশ কিছু গুলির শব্দ শুনতে পেয়ে পুলিশে খবর দেয় স্থানীয়রা। পরে ঘটনাস্থল থেকে তিনটি লাশ উদ্ধার করা হয়। একই সঙ্গে দুটি মোটরসাইকেল, গুলি ও ম্যাগজিন উদ্ধার করা হয়েছে।
ওসি বলেন, হানিফের বিরুদ্ধে হত্যাসহ ১৩টি মামলা রয়েছে। ২০০৩ সালের ৫ ডিসেম্বর একই স্থানে পাঁচজনকে হত্যা করা হয়। তিনি মৃত্যুদণ্ডের আসামি ছিলেন। হরিণাকুন্ডু উপজেলার কুরবাড়িয়া গ্রামের আব্দুর রহমান হত্যা মামলায় তাকে ফাঁসির রায় দেয় আদালত। উচ্চ আদালতেও ফাঁসির রায় বহাল থাকলে সাবেক রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদের বিশেষ ক্ষমা নিয়ে এলাকায় ফিরে আসেন।