সাড়ে ৯ হাজার কোটি টাকার মডেল মসজিদ নির্মাণ প্রকল্পে কমপক্ষে ৪ হাজার কোটি টাকা লোপাটের তথ্য পেয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। মসজিদের জন্য জায়গা অধিগ্রহণ, অবকাঠামো নির্মাণ ও অন্যান্য কেনাকাটায় এসব দুর্নীতি হয়েছে।
মন্ত্রী, সংসদ সদস্য, উপজেলা চেয়ারম্যান, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় পর্যায়ের প্রভাবশালী নেতা এবং গণপূর্ত অধিদপ্তরের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা এ বিপুল পরিমাণ অর্থ লোপাট করেছেন। গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় এবং ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা আমার দেশকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গণপূর্ত মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, প্রতিটি মসজিদের নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে গড়ে ১৭ কোটি টাকা। তবে এলাকাভেদে ১৫ কোটি টাকা থেকে শুরু করে ২০ কোটি টাকা পর্যন্ত ব্যয় হয়েছে। এসব মসজিদ নির্মাণে প্রকৃত ব্যয় অর্ধেকেরও কম। বাকি টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে। মডেল মসজিদের দুর্নীতি ও অনিয়ম খতিয়ে দেখতে ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনে একটি তদন্ত কমিটি কাজ করছে।
তদন্তের বিষয়ে কমিটির একজন সদস্য জানিয়েছেন, আমাদের তদন্ত ও অনুসন্ধান কার্যক্রম চলমান রয়েছে। বড় এ প্রকল্পটিতে অর্থায়ন করার মৌখিক প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল সৌদি আরব। ঢাকায় অবস্থিত সৌদি দূতাবাসের মাধ্যমে তথ্য নিয়ে ব্যাপক দুর্নীতির তথ্য পেয়ে দেশটি এ প্রকল্পে সহায়তা দিতে অপারগতা প্রকাশ করে।
তিনি বলেন, প্রকল্পে এখন পর্যন্ত যতটুকু অনিয়ম ও দুর্নীতির তথ্য পেয়েছি, সেটাকে এককথায় পুকুর চুরি নয়, সাগর চুরি বলতে হবে। সরকারের রাজস্ব খাতের বিপুল পরিমাণ টাকা মসজিদ প্রকল্পের নামে এভাবে লুট করা হবে, সেটা অভাবনীয় ও অকল্পনীয়।
দেশের বিভিন্ন স্থানে নির্মিত ও নির্মাণাধীন ৫০টি মসজিদ সরেজমিনে পরিদর্শন করে দেখা গেছে, কোনো কোনো মসজিদের জন্য জমি অধিগ্রহণ বাবদ ব্যয় ধরা হয়েছে ৫ থেকে ৭ কোটি টাকা পর্যন্ত। স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা কিংবা পলাতক মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যদের ঘনিষ্ঠরা গণপূর্ত অধিদপ্তর থেকে ঠিকাদারি কাজ নিয়ে এগুলো নির্মাণ করেছেন। জমি বিক্রির টাকার লোভে কোনো কোনো মসজিদ নির্মাণ করা হয়েছে শহর এলাকা থেকে ১৩ কিলোমিটার দূরে নির্জন এলাকায়।
৮৪২ কোটি টাকার প্রকল্প সাড়ে ৯ হাজার কোটি টাকায় শেষ
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, ২০১৪ সালের জাতীয় নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগ তাদের নির্বাচনি ইশতেহারে মডেল মসজিদ নির্মাণের ফর্মুলা পেশ করে। নির্বাচনের পর শেখ হাসিনার সরকার প্রথমে ৮৪২ কোটি টাকার একটি প্রকল্প অনুমোদন করে। এ অর্থ সরকার নিজস্ব তহবিল থেকে বরাদ্দ দেবে বলে জানানো হয়।
পরবর্তী সময়ে ২০১৫ সালে এক লাফে এ বরাদ্দের পরিমাণ বাড়িয়ে ৮ হাজার ৭২২ কোটি টাকা করা হয়। এর কিছুদিন পর দ্বিতীয় দফায় সংশোধিত প্রকল্প হিসেবে অর্থ বরাদ্দ আরো বাড়িয়ে ৯ হাজার ৪৩৫ কোটি টাকায় উন্নীত করা হয়। বিপুল পরিমাণ এ রাষ্ট্রের তহবিল থেকে দেওয়া হয়।
ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, আওয়ামী লীগের নির্বাচনি ইশতেহারের কথা উল্লেখ করে ২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে শেখ হাসিনা ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ে মডেল মসজিদ নির্মাণের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেন। আর এ প্রকল্প বাস্তবায়নের দায়িত্ব দেওয়া হয় গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়কে।
গণপূর্ত অধিদপ্তর এ প্রকল্পের জন্য একটি নকশা করে। এতে ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র, নারী ও পুরুষদের পৃথক অজু ও নামাজ আদায়ের ব্যবস্থা, লাইব্রেরি, গবেষণাগার, পবিত্র কোরআন হেফজখানা, শিশু শিক্ষা কার্যক্রম, অতিথিশালা, বিদেশি পর্যটকদের আবাসন, লাশ গোসলের ব্যবস্থা, হজ যাত্রীদের প্রশিক্ষণ এবং ইমাম ও মুয়াজ্জিনের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা রাখা হয়।
প্রতিটি মসজিদের জন্য ৪০ শতাংশ জমি কেনার অর্থও বরাদ্দ দেওয়া হয় এ প্রকল্পের আওতায়। জেলা পর্যায়ে চার তলা, উপজেলা পর্যায়ে তিন তলা ও উপকূলীয় এলাকায় নিচতলা ফাঁকা রেখে চার তলা ভবন নির্মাণের কথা বলা হয় নকশায়। পুরো প্রকল্পটি ২০১৭ সালে শুরু করে ২০২০ সালে শেষ করার কথা বলা হয়।
সোনার দামে মসজিদের জমি কেনা হয়
প্রতিটি মসজিদের জন্য ৪০ শতাংশ জমির প্রয়োজন হয়েছে। এলাকাভেদে এ জমির জন্য বরাদ্দ ছিল চার থেকে ছয় কোটি টাকার মতো। গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জানান, মসজিদে জায়গা দিয়ে পরকালে তরক্কি বা নাজাত হোক বা না হোক ইহজগতে তিনি কোটিপতি হয়ে গেছেন।
মসজিদের জন্য যার জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে, তার ভাগ্যের চাকা খুলে গেছে রাতারাতি। মৌজামূল্য অনুযায়ী যে জায়গার দাম ৪০ থেকে ৫০ লাখ টাকা হওয়ার কথা, সেটি কেনা হয়েছে কয়েকগুণ বেশি দামে। ফলে জেলা প্রশাসনকে ম্যানেজ করে আওয়ামী লীগ সরকারের মন্ত্রী, এমপি ও নেতাদের সমন্বয়ে মসজিদের জমি কেনার সিন্ডিকেট গড়ে তোলা হয়।
ইসলামিক ফাউন্ডেশন কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, প্রকল্প অনুযায়ী মসজিদগুলো নির্মাণ করার কথা জেলা ও উপজেলা শহরে। এতে মসজিদভিত্তিক একটি সমাজ গড়ে উঠবে, এমনটা ধরেই ইসলামিক ফাউন্ডেশন কার্যক্রম হাতে নিয়েছে। মসজিদগুলো দেখলেই বোঝা যায়, এগুলো মুসুল্লি কিংবা এলাকাবাসীর জন্য নয়, জায়গা বিক্রির জন্যই এ প্রকল্প নেওয়া হয়েছে।
মসজিদের জন্য উপযুক্ত জায়গা নির্বাচনের ক্ষেত্রে কোনো সমন্বিত কার্যক্রম ছিল না বলে জানান ইসলামিক ফাউন্ডেশনের এক কর্মকর্তা। তিনি বলেন, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় প্রকল্প অনুমোদন করেছে। জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের ভূমি অধিগ্রহণ (এলএ) শাখা জায়গা নির্ধারণ করে দিয়েছে। গণপূর্ত অধিদপ্তর প্রকল্প ও নকশা তৈরি করেছে। মসজিদ নির্মাণ থেকে শুরু করে যাবতীয় কেনাকাটা করেছে গণপূর্ত অধিদপ্তর। সব কাজ শেষ করে আমাদের হাতে মসজিদ তুলে দেওয়া হয়েছে রক্ষণাবেক্ষণের জন্য। মসজিদের জায়গা নির্বাচনের ক্ষেত্রে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কোনো ভূমিকা ছিল না বলেও দাবি করেন ওই কর্মকর্তা।
গ্রামের সস্তা জমি মসজিদের জন্য সোনার দামে কেনার বিষয়ে জানতে চাইলে গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রজেক্ট সার্কেল-২ এর এক কর্মকর্তা বলেন, পিপিআর অনুযায়ী প্রকল্পের জন্য উপযুক্ত জায়গা নির্বাচনের দায়িত্ব আমাদের হাতে থাকার কথা। তবে প্রতিটি মসজিদের যাবতীয় কার্যক্রম হয়েছে রাজনৈতিকভাবে। স্থানীয় রাজনৈতিক নেতারা জায়গা নির্বাচন করে দিয়েছে আর জেলা প্রশাসন অধিগ্রহণ করে আমাদের হাতে দিয়েছে প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য। অবশিষ্ট কাজ ঠিকাদারের মাধ্যমে করা হয়েছে। দুর্নীতি ও অনিয়ম যা হয়েছে, সেটার জন্য ওই সময়ের রাজনৈতিক সরকারই দায়ী।
১৭ কোটি টাকার মসজিদ এখন ভুতুড়ে স্থাপনা
ইসলামিক ফাউন্ডেশনের প্রকল্প পরিচালকের কার্যালয়ের এক কর্মকর্তা জানান, এ প্রকল্পের অধীনে মসজিদ নির্মাণ হবে ৫৬৪টি। এ জন্য সরকারের কোষাগার থেকে ৯ হাজার ৪৩৫ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। শেখ হাসিনার সরকার ৩০০ মসজিদ উদ্বোধন করে গেছে। এখন উদ্বোধনের অপেক্ষায় রয়েছে ৫০টি। নির্মাণ কাজ চলছে আরো ১৮০টি মডেল মসজিদের। অবশিষ্ট ৩৪টি মসজিদের জন্য জায়গা নির্বাচন করা হলেও বর্তমান প্রশাসনের আপত্তিতে সব স্থগিত হয়ে গেছে। এখন নতুন করে জায়গা নির্বাচনের কাজ চলছে বলে জানান তিনি।
মসজিদের নির্মাণ ব্যয়ের যৌক্তিকতা নিয়ে ওই কর্মকর্তা জানান, গড়ে একটি মসজিদের জন্য বরাদ্দ প্রায় ১৭ কোটি টাকা। তবে এলাকাভেদে জমির দাম ও পাইলিংয়ের কারণে নির্মাণ ব্যয় কম-বেশি হয়েছে। কোথাও কোথাও ১৫ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে আবার কোথাও ১৯-২০ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে। প্রকল্পের সময়সীমার বিষয়ে তিনি বলেন, ২০২০ সালে এ প্রকল্পের মেয়াদ থাকলেও তার মেয়াদ ২০২৬ সাল পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, উদ্বোধন হওয়া ও উদ্বোধনের অপেক্ষায় থাকা মসজিদগুলোর মধ্যে কয়েকটি জেলা ও উপজেলা শহরে নির্মাণ করা হলেও অধিকাংশ মসজিদ শহর এলাকা থেকে অনেক দূরের নির্জন এলাকায় নির্মাণ করা হয়েছে। কয়েকটি মসজিদ উপজেলা শহর থেকে ১৩ কিলোমিটার দূরে নির্মাণ করা হয়েছে।
চাঁদপুর জেলার মতলব দক্ষিণ উপজেলার মডেল মসজিদটি নির্মাণ করা হয়েছে উপজেলা সদর থেকে প্রায় দুই কিলোমিটার দূরের জনমানবশূন্য এলাকায়। ২০২৩ সালের এপ্রিলে মসজিদটি উদ্বোধন করা হয়েছে, তবে যাতায়াতের রাস্তা না থাকায় মুসল্লিরা যেতে পারছেন না। একই জেলার ফরিদগঞ্জ উপজেলায় মডেল মসজিদটি করা হয়েছে উপজেলা কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের ১০০ গজের ভেতরে। স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতার জায়গা বিক্রির জন্য এ মসজিদটি নির্মাণ করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় মসজিদের একজন মুসল্লি জানান, এ মসজিদটি শহরের অন্য জায়গায় করার জন্য বিক্ষোভও হয়েছিল। কিন্তু ওই সময়ের প্রশাসন তা আমলে না নিয়ে বিশাল একটি মসজিদের পাশে ১৭-১৮ কোটি টাকা ব্যয় করে আরেকটি মসজিদ নির্মাণ করেছে।
মডেল মসজিদ নির্মাণের এমন দৃশ্যের বিবরণ বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা থেকে আমাদের প্রতিনিধিরা পাঠিয়েছেন। ২০২২-২৩ সালে উদ্বোধন করা হয়েছে, এমন মসজিদে নামাজিদের যাতায়াতের জন্য এখনো সংযোগ সড়কও নির্মাণ করা হয়নি। কিছু মসজিদ দেখা গেছে, যেটি রক্ষণাবেক্ষণের জন্য কোনো লোকবলও নেই। কোথাও কোথাও দেয়ালের পলেস্তারা খসে পড়ছে। অজুখানায় কল নেই কোনো কোনো মসজিদে। কয়েকটি মসজিদের টাইলসেও ফাটল দেখা গেছে।
দুর্নীতির আলামত পেয়ে অর্থায়ন করেনি সৌদি সরকার
ইসলামিক ফাউন্ডেশন সূত্র জানিয়েছে, ২০১৪ সালে প্রতিটি জেলা এবং উপজেলায় একটি করে মডেল মসজিদ তৈরি করার একটি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছিল। প্রার্থীবিহীন একতরফা নির্বাচনের মাধ্যমে দ্বিতীয় মেয়াদে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর শেখ হাসিনা সৌদি আরব সফরকালে দেশটির বাদশাহ সালমান বিন আব্দুল আজিজ আল-সৌদের সঙ্গে বৈঠকে এ প্রকল্পে অর্থায়নের জন্য প্রস্তাব করেন।
সৌদি সরকার এ প্রকল্পে অর্থায়নে সম্মতি দেওয়ার পর এ মডেল মসজিদ প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয় ৯ হাজার ৬২ কোটি টাকা। যার মধ্যে সৌদি সরকারের অনুদান হিসেবে দেবার কথা ছিল ৮ হাজার ১৭০ কোটি টাকা। বাকি টাকা সরকার নিজস্ব তহবিল থেকে বহন করবে বলে জানানো হয়।
সরকার এ বিষয়ে একটি প্রজেক্ট প্রোফাইল তৈরি করে সৌদি সরকারকে প্রেরণ করে। যাতে প্রতিটি মসজিদের জন্য ব্যয় দেখানো হয়েছে গড়ে ১৭ কোটি টাকা। প্রকল্পটি নিয়ে সৌদি সরকারের সন্দেহ হলে তারা নিজস্ব পদ্ধতি প্রয়োগ করে অনুসন্ধানের জন্য ঢাকার একটি সংস্থাকে দায়িত্ব দেয়। ওই সংস্থার পক্ষ থেকে প্রতিটি মসজিদের জন্য ৮ থেকে ৯ কোটি টাকা ব্যয়ের কথা বলা হয়।
প্রকল্পটিতে সৌদি অর্থায়ন না হওয়ার পেছনে পদ্মাসেতু মেঘা প্রকল্পকেও দায়ী করেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ওই কর্মকর্তা। তিনি বলেন, যে সময়ে সৌদি সরকারের সঙ্গে এ প্রকল্পের অর্থায়ন নিয়ে আলোচনা হচ্ছিল তার আগে পদ্মা সেতুতে বিশ্বব্যাংকের অর্থায়ন নিয়েও ব্যাপক আলোচনা হয়। দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়ায় বিশ্বব্যাংক পদ্মা সেতু মেগা প্রকল্পে অর্থায়ন থেকে সরে আসে। এসব কারণে শেষ পর্যন্ত সৌদি আরব এ প্রকল্পে অর্থায়ন করতে অসম্মতি জানায়। সৌদি সরকার অর্থায়নে অপারগতা প্রকাশের পর সরকার নিজস্ব অর্থায়নে এ প্রকল্প বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেয় এবং দুই দফায় অর্থ বরাদ্দ বাড়িয়ে তা সাড়ে ৯ হাজার কোটি টাকায় উন্নীত করে নেয়।
অনিয়ম তদন্ত করছে দুই মন্ত্রণালয়
মডেল মসজিদ প্রকল্পে প্রাথমিক অনুসন্ধানে ব্যাপক দুর্নীতি, অনিয়ম ও লুটপাটের তথ্য পেয়েছে ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয় দুটি পৃথকভাবে এ প্রকল্পের যাবতীয় বিষয় তদন্ত করছে।
এ বিষয়ে ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন আমার দেশকে বলেন, ‘এ প্রকল্পের অনিয়ম ও দুর্নীতি খতিয়ে দেখতে আমরা একটি উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করে দিয়েছি। এ কমিটি তাদের তদন্ত ও অনুসন্ধান কাজ শুরু করেছে। কমিটির প্রতিবেদন পাওয়ার পর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তদন্তে যে দায়ী প্রমাণিত হবে, তার বিরুদ্ধে আইনগত ও বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’