banglanews
Wednesday , 5 March 2025 | [bangla_date]
  1. আইন-আদালত
  2. আপনার জন্য
  3. আলোচিত সংবাদ
  4. একটু থামুন
  5. খেলা
  6. চাকরি
  7. জীবনযাপন
  8. জেলা সংবাদ
  9. ডাক্তার আছেন
  10. দুর্নীতি
  11. ধর্ম ও জীবন
  12. নির্বাচিত কলাম
  13. প্রবাস জীবন
  14. প্রযুক্তি
  15. বাণিজ্য

গঙ্গা-পদ্মায় স্বাভাবিক প্রবাহ চাই সৈয়দ আবদাল আহমদ

প্রতিবেদক
নিউজ ডেক্স
March 5, 2025 9:13 am

বাংলাদেশ ও ভারতের সম্পর্ক এখন তলানিতে। ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান তথা জুলাই বিপ্লবে শেখ হাসিনার পতন ও প্রাণ বাঁচাতে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার ঘটনা ভারত এখন পর্যন্ত স্বাভাবিকভাবে নিতে পারেনি। এ নিয়ে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে যেসব ব্রিফিং ও বিবৃতি দেওয়া হয়েছে, তার ভাষা ইতিবাচক নয়। কথাগুলো কেমন যেন বাঁকা বাঁকা।

নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে কাজ চালিয়ে যাওয়ার কথা ভারতের পক্ষ থেকে বলা হলেও এর মধ্যে আন্তরিকতার ছাপ দেখা যাচ্ছে না। এরই মধ্যে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যুক্তরাষ্ট্র সফরে গিয়ে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকে বাংলাদেশ প্রসঙ্গ উঠিয়েছিলেন। অবশ্য মোদির বাংলাদেশ সম্পর্কে অভিযোগ ট্রাম্প তেমন আমলে নেননি।

আর ভারতের মিডিয়া তো বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অঘোষিত যুদ্ধই শুরু করে দিয়েছে। ভারতের ইন্ধনে বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীাতি নষ্টের অপচেষ্টায় সংখ্যালঘু কার্ড কয়েকবারই খেলা হয়েছে। বিষোদ্‌গার তো টানা চলছেই।

এমন অস্বস্তিকর পরিস্থিতিতে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী কলকাতায় গঙ্গাচুক্তি নিয়ে একটি বৈঠক হচ্ছে। এটি হচ্ছে গঙ্গাচুক্তিবিষয়ক যৌথ কমিটির ৮৬তম সভা। পাঁচ দিনব্যাপী এই বৈঠকের জন্য বাংলাদেশ থেকে ১১ সদস্যের এক প্রতিনিধিদল সোমবার সকালে কলকাতায় পৌঁছেছে। যৌথ কমিটির সদস্য ড. মুহাম্মদ আবুল হোসেন এই কমিটির নেতৃত্ব দিচ্ছেন।

ড. আবুল হোসেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী এবং পানিবিশেষজ্ঞ। সীমান্ত নদী পানিবণ্টন সমস্যা বিষয়ে তিনি ডক্টরেট করেছেন। তার গবেষণার ফল আন্তর্জাতিক জার্নালে ছাপা হয়েছে। সোমবার ভারতীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বাংলাদেশ দল ট্রেনযোগে ফারাক্কা পয়েন্টে যায়। ৩ ও ৪ মার্চ ফারাক্কা ব্যারাজের বিভিন্ন অংশ যৌথ পরিদর্শন শেষ করে দুদেশের টেকনিক্যাল কমিটি কলকাতার হায়াত রিজেন্সি হোটেলে গঙ্গাচুক্তি নিয়ে আলোচনা করবে। বাংলাদেশ প্রতিনিধিদল ৮ মার্চ ঢাকায় ফিরে আসবে। উভয় দেশের প্রতিনিধিদলে সরকারি কর্মকর্তা ছাড়াও নদী ও পানিবিশেষজ্ঞরা রয়েছেন।

প্রশ্ন দাঁড়িয়েছে, বাংলাদেশ-ভারত শীতল সম্পর্কের মধ্যেও গঙ্গাচুক্তি নিয়ে দুদেশ এই মুহূর্তে বৈঠক কেন? আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পলিটিক্যাল ক্লিয়ারেন্স বা রাজনৈতিক সবুজসংকতের পরিপ্রেক্ষিতেই বৈঠকটি হচ্ছে।

কারণ ১৯৯৬ সালে স্বাক্ষরিত গঙ্গাচুক্তির ৩০ বছরের মেয়াদ শেষ হতে যাচ্ছে ২০২৬ সালের ডিসেম্বরে। ফলে কোন শর্তে চুক্তিটির নবায়ন করা হবে, সেটি স্থির করা জরুরি বলে উভয় দেশ মনে করছে। গঙ্গাচুক্তি নবায়নের জন্য বছর দেড়েকের মতো সময় হাতে থাকায় বিশেষজ্ঞ কমিটির বৈঠক স্থগিত করতে চায়নি দুই দেশ, এমন কথাই বলছে কূটনৈতিক মহল। গঙ্গাচুক্তিতেই আছে দুদেশের বিশেষজ্ঞরা পর্যায়ক্রমিকভাবে ভারতে গঙ্গার ওপর ফারাক্কা ব্যারাজ পয়েন্টে ও বাংলাদেশের পদ্মার ওপর হার্ডিঞ্জ ব্রিজ পয়েন্টে পানিপ্রবাহ ও অন্য বিষয়াবলি যৌথভাবে পরিদর্শন করতে পারবেন।

গঙ্গাচুক্তি নিয়ে বিশেষজ্ঞ কমিটির যৌথ জরিপ ও বৈঠক সম্পর্কে ভারতের পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়েছে, এটি বিশেষজ্ঞ কমিটির রুটিন বৈঠক। এটি রুটিন বৈঠক হলেও যেহেতু গঙ্গাচুক্তির নবায়নের সময় এগিয়ে এসেছে, তাই এর আলাদা গুরুত্ব রয়েছে। বৈঠকে গঙ্গার ফারাক্কা পয়েন্টে আগে ও পরে শুষ্ক মৌসুমে পানিপ্রবাহ কতটা বজায় আছে, সাম্প্রতিক পরিসংখ্যান কী বলছে, গঙ্গার পানিপ্রবাহের কতটা পদ্মায় আর কতটা ভাগীরথী (হুগলী) নদীতে যাচ্ছে-এ বিষয়গুলো নিয়ে বিশেষজ্ঞ কমিটি বৈঠকে চুলচেরা বিশ্লেষণ করবে।

ইঙ্গিত পাওয়া গেছে, আগামী বছর চুক্তি নবায়নের সময় বাংলাদেশ নতুন ফর্মুলায় পানির হিস্যা ভাগাভাগির ওপর জোর দিতে চাচ্ছে। ফলে এখানেও বৈঠকের আলাদা একটা গুরুত্ব দেখা যাচ্ছে। আর এর রাজনৈতিক গুরুত্ব হলো বর্তমান দুদেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের শীতলতার মধ্যে ভারতের পক্ষ থেকে ড. মুহাম্মদ ইউনূস সরকারের প্রতিনিধিদলকে সফরে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।

তিস্তা নদীর পানিবণ্টন চুক্তি নিয়ে অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়ে আছে। ভারতের অনমনীয় মনোভাবের কারণে এখন পর্যন্ত চুক্তিটি হয়নি। ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার শেখ হাসিনার আমলে চুক্তিটি করার জন্য কয়েক দফা উদ্যোগ নিলেও কঠিনভাবে বেঁকে বসেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। তিনি কিছুতেই বাংলাদেশকে পানি দেবেন না। ফলে চুক্তি আর আলোর মুখ দেখেনি।

ইতোমধ্যে পানির অভাবে বাংলাদেশের তিস্তাপাড়ের মানুষ নিদারুণ দুঃখ-কষ্ট ভোগ করছেন। পানির জন্য হাহাকার সৃষ্টি হয়েছে। বিশেষ করে ওই অঞ্চলের কৃষকরা সেচের অভাবে ফসল ফলাতে গিয়ে ভয়াবহ সংকটে পড়ছেন। সম্প্রতি তিস্তা অঞ্চলে হাজার হাজার মানুষের উপস্থিতিতে ‘জাগো বাহে তিস্তা বাঁচাই’ কর্মসূচিতে দেখেছি তারা তিস্তার পানির জন্য কীভাবে উন্মুখ হয়ে আছেন।

ভারতের সিদ্ধান্ত আছে যে, বর্তমান সরকারের সঙ্গে তারা দীর্ঘমেয়াদি কোনো চুক্তি বা সমঝোতায় যাবে না, সে কারণে তিস্তাচুক্তির ভবিষ্যৎ একপ্রকার অনিশ্চিত। কিন্তু গঙ্গাচুক্তির ব্যাপারটা এমন না। চুক্তি যেহেতু আছে এবং সেটি ৩০ বছর ধরে চলে আসছে, তাই এর পর্যালোচনায় বাধা নেই। ফলে দুদেশের বিশেষজ্ঞরা গঙ্গার পানিপ্রবাহ নিয়ে বৈঠক করছেন।

বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে প্রবাহিত গঙ্গার পানিবণ্টন নিয়ে ১৯৯৬ সালে ৩০ বছর মেয়াদি গঙ্গাচুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল। চুক্তিতে শেখ হাসিনার সঙ্গে সই করেছিলেন ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী এইচডি দেবগৌড়া। বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে ৫৪টি অভিন্ন নদী রয়েছে। গঙ্গা ছাড়া আর কোনো নদীর পানিবণ্টন চুক্তি হয়নি। তিস্তার কথা আগেই বলেছি যে, এই নদীর পানিবণ্টনে এই মুহূর্তে চুক্তি স্বাক্ষর বাংলাদেশের জন্য অগ্রাধিকার হলেও এখনো তা অমীমাংসিত রয়েছে। চুক্তির ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত।

ফারাক্কা লংমার্চের ৪৩তম বার্ষিকী উপলক্ষে কয়েক বছর আগে আন্তর্জাতিক ফারাক্কা কমিটি একটি সেমিনারের আয়োজন করেছিল। তারা গঙ্গা পানিবণ্টন চুক্তি নবায়ন করে অববাহিকাভিত্তিক সমন্বিত আঞ্চলিক নদী ব্যবস্থাপনার প্রক্রিয়া শুরু করার দাবি জানিয়েছিলেন। বর্তমান আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুলের ‘শেয়ারিং গঙ্গাস ওয়াটার : ইন্দো-বাংলাদেশ ট্রিটিস অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল ল’ বইটির প্রকাশনা অনুষ্ঠানেও এর আগে আমরা দেখেছি বিশেষজ্ঞরা গঙ্গাচুক্তি নবায়নের ওপর গুরুত্ব দিয়ে বক্তব্য রেখেছেন। সেখানেও পানির যথার্থ ব্যবহার ও ব্যবস্থাপনা বিশেষভাবে অববাহিকাভিত্তিক ব্যবস্থাপনার ওপর গুরুত্ব দিতে হবে।

অভিন্ন নদীর পানিবণ্টন নিয়ে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সমস্যা দীর্ঘদিনের। এ সমস্যা জাতিসংঘে পর্যন্ত উঠেছিল। তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া গঙ্গার পানি সমস্যার কথা জাতিসংঘে নিয়ে গিয়েছিলেন। ভারতের সঙ্গে অভিন্ন বড় নদী আছে ৫৪টি। প্রায় প্রতিটি নদীর ক্ষেত্রে ভারত উজানে বাঁধ দিয়ে রেখেছে। গঙ্গার উজানেই এমন বাঁধের সংখ্যা ৩৬টি।

এ ছাড়া ভারত নদী সংযোগ প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে গিয়ে এমন বহুসংখ্যক বাঁধ ও কাঠামো নির্মাণ করেছে। বাংলাদেশ-ভারত পানিবণ্টন সমস্যার সূত্রপাত হয় সেই পাকিস্তান আমলে ১৯৬১ সালে ফারাক্কা ব্যারাজ নির্মাণের কাজ যখন শুরু হয়। এই বাঁধ নির্মাণ শেষ হয় ১৯৭৪ সালে। মূল উদ্দেশ্য ছিল গঙ্গা থেকে ফিডার ক্যানেলের মাধ্যমে ৪০ হাজার কিউসেক পানি প্রত্যাহার করে হুগলি-ভাগীরথী নদী ব্যবস্থায় প্রবাহিত করে শুষ্ক মৌসুমে কলকাতা বন্দরের নাব্য রক্ষা করা।

১৯৭৫ সালের ২১ এপ্রিল শেখ মুজিব সরকারের সময় অস্থায়ী ৪১ দিনের চুক্তির অধীনে ফারাক্কা ব্যারাজ চালু করে ভারত। কিন্তু এটি আর কখনো বন্ধ হয়নি। রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আমলে পাঁচ বছর মেয়াদি প্রথম গঙ্গার পানিবণ্টন চুক্তি স্বাক্ষর হয়, যার মেয়াদ ছিল ১৯৭৭-৮২। চুক্তিটির অন্যতম বৈশিষ্ট্য ছিল পানির প্রাপ্যতা নিশ্চিতে ‘গ্যারান্টি ক্লজ’। চুক্তিটির নবায়নের কথা থাকলেও নবায়ন হয়নি। শেখ হাসিনার আমলে ৩০ বছর মেয়াদি যে চুক্তি হয়, তাতে কোনো গ্যারান্টি ক্লজ ছিল না। তবুও বাংলাদেশ চুক্তিটি মেনে নেয়। এখন দেখার বিষয়, চুক্তিটির নবায়ন প্রক্রিয়ায় বাংলাদেশের ন্যায্য পানির হিস্যা কতটা রক্ষিত হয়। আমরা চাই গ্যারান্টি ক্লজসহ গঙ্গার পানি চুক্তিটি হোক।

এখানে বিশেষভাবে বলা প্রয়োজন, ১৯৯৬ সালে করা গঙ্গা চুক্তির কারণে বাংলাদেশে গঙ্গার প্রবাহ মোটেও বৃদ্ধি পায়নি। তা ছাড়া চুক্তি অনুযায়ীও বাংলাদেশ পানি পায়নি। বলা হয়েছিল, শুষ্ক মৌসুমে ফারাক্কায় যতটুকু প্রবাহ থাকবে, তার অর্ধেক বাংলাদেশকে দেওয়া হবে। কিন্তু সেটা বাস্তবে দেখা যায়নি।

ফারাক্কা বাঁধ নির্মাণের ৫০ বছর অতিবাহিত হয়েছে। আন্তর্জাতিক রীতি অনুযায়ী ৩০ বছর হলেই এ ধরনের বাঁধের মূল্যায়ন হওয়ার কথা। বিশেষজ্ঞদের মতে, ফারাক্কা বাঁধের মূল্যায়ন এখন হওয়া প্রয়োজন। বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নিতীশ কুমার ২০০৫ সাল থেকে এখন পর্যন্ত এ দায়িত্বে আছেন। তার নেতৃত্বে ২০১৭ সালে ফারাক্কা বাঁধ ভেঙে ফেলার দাবিতে এর আগে আমরা আন্দোলন শুরু হতে দেখেছি।

আন্দোলনকারীদের বক্তব্যে ছিল ফারাক্কা বাঁধের কারণে সৃষ্ট ৩০ কোটি টন পলিবালু ফারাক্কার উজানে গঙ্গায় জমা হচ্ছে, ফলে নদীতল উঁচু হচ্ছে এবং বন্যা ও নদীভাঙন তীব্র হচ্ছে। এর আগে ২০১৬ সালের ২৩ আগস্ট মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমার দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে সাক্ষাৎ করে বিতর্কিত ফারাক্কা বাঁধকে পুরোপুরি সরিয়ে দেওয়ার প্রস্তাব করেন। তিনি মোদিকে জানান, এই বাঁধের কারণে গঙ্গায় যে বিপুল পলি পড়ছে, তার জন্য প্রতিবছর বিহারকে বন্যায় ভুগতে হচ্ছে। এর স্থায়ী সমাধান হলো বাঁধটা সরিয়ে দেওয়া।

বিহার ছাড়াও উত্তর প্রদেশেও এ কারণে বন্যা হয় বলে তিনি জানান। অর্থাৎ ফারাক্কা এখন ভারতের জন্যই একটা সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার থাকাকালে আমার একটি রিপোর্ট দৈনিক বাংলায় লিড হয়েছিল। রিপোর্টটি ছিল ‘ফারাক্কা এখন পশ্চিমবঙ্গের মরণফাঁদ।’ প্রখ্যাত ভূগোলবিদ অধ্যাপক এমআই চৌধুরী ফারাক্কা বাঁধ অঞ্চল পর্যবেক্ষণ করে এসে তার গবেষণা নিবন্ধে বাঁধের ফলে পশ্চিমবঙ্গে কী বিরূপ প্রতিক্রিয়া হয়েছে, তা তুলে ধরেছিলেন।

তিনি এতে উল্লেখ করেন, এই বাঁধের প্রতিক্রিয়ায় হুগলি নদী এবং দম দম বিমানবন্দরে হুমকির সম্মুখীন হয়ে পড়েছে। গবেষণা নিবন্ধ থেকে রিপোর্টটি হয়েছিল। সেই ভবিষ্যদ্বাণীই আজ সত্য হয়ে উঠছে। ভারতেই এই বাঁধ নিয়ে আওয়াজ উঠেছে।

১৯৯৬ সালের চুক্তির মতো আরেকটি চুক্তির ফাঁদে আটকা না পড়ে ফারাক্বা বাঁধ অপসারণের যে দাবি ভারতে উঠেছে, তার প্রতি সমর্থন ঘোষণা করা এবং গঙ্গার স্বাভাবিক প্রবাহ পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হওয়ার জন্য দাবি তোলা প্রয়োজন। আমরা গঙ্গার পানির ন্যায্য হিস্যা চাই এবং চুক্তি যেন হয় গ্যারান্টি ক্লজসহ।

লেখক : নির্বাহী সম্পাদক

আমার দেশ

সাবেক সম্পাদক, জাতীয় প্রেস ক্লাব

Facebook Comments Box

সর্বশেষ - খেলা