মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় মুক্তিযোদ্ধার সন্তান কোটায় নির্বাচিত ১৯৩ জনের ফল স্থগিত করেছে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর। আজ সোমবার বিকেলে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে এক বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়।
স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর জানায়, ২৯ জানুয়ারির মধ্যে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় পাস করা শিক্ষার্থীদের কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করা হবে। সে জন্য তাদের কাগজপত্র অনলাইনে চাওয়া হয়েছে। এরপর নেয়া হবে সাক্ষাৎকার। এরপর প্রকাশ করা হবে চূড়ান্ত ফল।
সংস্থার অতিরিক্ত মহাপরিচালক (চিকিৎসা শিক্ষা) অধ্যাপক রুবীনা ইয়াসমীন বলেন, তাদের ফলাফল আপাতত স্থগিত থাকবে। আমরা তাদের কাগজপত্র যাচাই করব। সেজন্য তিনটা কমিটি করে দেওয়া হয়েছে। ২৭, ২৮ ও ২৯ জানুয়ারি- এই তিনদিন তারা সমস্ত কাগজপত্র নিয়ে মন্ত্রণালয়ে আসবে। মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ছাড়া অন্য কেউ এই তালিকায় রয়ে গেছে কিনা তা আমরা যাচাই করব। যদি মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ছাড়া অন্য কেউ লিস্টে থাকে, তাহলে তার স্থান পাওয়ার কোনো সুযোগই নেই।
তিনি বলেন, এটা প্রাথমিক ফলাফল। সবকিছু ফাইনাল হবে কাগজপত্র দেখার পর। অন্য সময় মুক্তিযোদ্ধা কোটার কাগজপত্র যাচাইবাছাই হয় সংশ্লিষ্ট কলেজে, এবার কলেজে যাওয়ার সুযোগ নেই।
এর আগে রবিবার ২০২৪-২০২৫ শিক্ষাবর্ষের মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর। দেশের ৩৭টি সরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তির জন্য প্রাথমিকভাবে ৫,৩৭২ জন নির্বাচিত হয়, যাদের মধ্যে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান কোটায় ১৯৩ জন রয়েছেন।
প্রকাশিত ফলকে ‘বৈষম্যমূলক’ দাবি করে রবিবার রাতেই কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে বিক্ষোভ দেখান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও ঢাকা মেডিকেল কলেজের একদল শিক্ষার্থী। তারা ফল বাতিলের দাবিও তোলেন।